গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে বোর্ড গড়তে বাম কর্মী সংগঠনের সঙ্গে হাত মেলাল তৃণমূলের কর্মী সংগঠন। ঘটনাটি ঘটেছে হাওড়ার সাঁকরাইল ব্লক এমপ্লয়িজ কো-এপারেটিভ ক্রেডিট সোসাইটির নির্বাচনে।
প্রশাসন সূত্রে খবর, সাঁকরাইল ব্লকের পঞ্চায়েত ও ব্লকের কর্মচারীদের এই কো-অপারেটিভ ক্রেডিট সোসাইটি দীর্ঘদিন বাম কর্মী সংগঠন কো-অর্ডিনেশন কমিটির দখলে ছিল। গত বছর ২৯ সেপ্টেম্বর আগের বোর্ডের মেয়াদ শেষ হয়। ফলে নতুন বোর্ড গঠনে উদ্যোগী হয় কো-অর্ডিনেশন কমিটি ও পঞ্চায়েতিরাজ এমপ্লয়িজ ফেডারেশন। দু’পক্ষই প্রার্থী মনোনয়নের প্রস্তুতি শুরু করে দেয়। গত ১৪ ডিসেম্বর থেকে ২৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত মনোনয়ন তোলা, জমা দেওয়া বা স্ক্রুটিনির সময়সীমা ছিল। নির্বাচন হওয়ার কথা আগামী ২০ জানুয়ারি। মোট ভোটার ৭৩ জন।
স্থানীয় সূত্রের খবর, ব্লকে তৃণমূলের কর্মী সংগঠনের দুটি গোষ্ঠী রয়েছে। একটি গোষ্ঠী সংগঠনের হাওড়া জেলার কার্যকরী সভাপতি সুজয় সরকারের। অপর গোষ্ঠীটি তপন ঘোষালের। তপনবাবু তৃণমূলের কর্মী সংগঠনের অন্য গোষ্ঠীর জেলা সম্পাদক। তাঁর গোষ্ঠীই মূলত নির্বাচন নিয়ে উদ্যোগী হয়েছিল। অপর গোষ্ঠীর অভিযোগ, হঠাৎই তপন ঘোষাল গোষ্ঠী কো-অর্ডিনেশন কমিটির সঙ্গে সমঝোতা করে ১১টি আসনেই সদস্য মনোনীত করে প্রশাসনের কাছে পাঠিয়ে দেয়। বিষয়টি জানতে পেরে সুজয়-গোষ্ঠী প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করে। কিন্তু ততক্ষণে মনোনয়ন জমার শেষ দিন পেরিয়ে গিয়েছে। দলের একাংশের এমন আচরণ নিয়ে সুজয়বাবু বলেন, ‘‘আমি সেই সময় বাইরে ছিলাম। আমাকে অন্ধকারে রেখেই এ কাজ করা হয়েছে।’’ তিনি জানান, নীতি বিসর্জন দিয়ে কী ভাবে দলের লোকজন কো-অর্ডিনেশন কমিটির সঙ্গে হাত মেলালেন তা বুঝতে পারছি না। পুরো বিষয়টি রাজ্য নেতৃত্বকে জানাব।
যদিও এ বিষয়ে তপন ঘোষাল এবং কো-অর্ডিনেশন কমিটির নেতা মদন হুদাতি বলেন, ‘‘দল মত নয়, সোসাইটির উন্নতির কথা ভেবেই দক্ষ লোকদের নিয়ে বোর্ড গঠন করা হচ্ছে।’’
হাওড়া জেলা তৃণমূল সভাপতি (সদর) অরূপ রায় বলেন, ‘‘এখনও এরকম কোনও অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে বিষয়টি খতিয়ে দেখে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’