প্রতীকী ছবি।
হেলমেটহীন মোটরবাইক আরোহীদের ধরতে গিয়ে আক্রান্ত হল পুলিশ।
অভিযোগ, তীব্র গতিতে মোটরবাইক দিয়ে এক পুলিশ কর্মীকে ধাক্কা মারার পরে এক সিভিক ভলান্টিয়ারকেও লাঠি কেড়ে নিয়ে রাস্তায় ফেলে বেধড়ক মারধর করেন দুই যুবক। মারধরের হাত থেকে বাদ যাননি আহত পুলিশ কর্মীও। শনিবার সকাল ১০টা নাগাদ হাওড়া ময়দান সংলগ্ন ফাঁসিতলা মোড়ে ঘটনাটি ঘটেছে। শহরের অন্যতম ব্যস্ত জনবহুল মোড়ে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়। স্থানীয় বাসিন্দা এবং পথচারীরাই আক্রমণকারী দুই যুবককে ধরে পুলিশের হাতে তুলে দিলে পুলিশ তাঁদের গ্রেফতার করে। ধৃতদের নাম সাকির জামাল ও সোহেব আলি। দু’জনেরই বাড়ি গোলাবাড়ি থানা এলাকায়।
হাওড়া সিটি পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন সকালে বিভিন্ন রাস্তার মোড়ে হেলমেটহীন চালকদের ধরে জরিমানা করছিল পুলিশ। ফাঁসিতলা-জিটি রোড মোড়েও এই ‘ড্রাইভ’ চলছিল। পুলিশ জানায়, তখন পিলখানার দিক থেকে একটি স্কুটিতে হেলমেটহীন দুই যুবককে তীব্র গতিতে আসতে দেখে তাঁদের থামতে বলেন ট্রাফিক কনস্টেবল শঙ্কর দাড়ি। অভিযোগ, শঙ্করবাবু তাঁদের থামতে বললেও ওই দু’জন স্কুটি নিয়ে সোজা এসে শঙ্করবাবুকে ধাক্কা মারে। শঙ্করবাবু রাস্তায় পড়ে যান। তাঁর হাঁটুর মালাইচাকি ভেঙে যায়।
এ দিন হাওড়া হাসপাতালের বেডে শুয়ে আহত শঙ্করবাবু বলেন, ‘‘আমাকে ধাক্কা মেরে ওই দু’জন বাইক ঘুরিয়ে ফের পিলখানার দিকে পালাতে গেলে কিছুটা যাওয়ার পরে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তায় পড়ে যায়। এর পরেই ফিরে এসে রাস্তায় পড়ে থাকা অবস্থায় আমাকে মারধর শুরু করে।’’
পুলিশ জানায়, শনিবার ওই রাস্তার মোড়ে শঙ্করবাবুর সঙ্গে যানবাহন সামলাচ্ছিলেন সিভিক ভলান্টিয়ার রোহিত গুপ্ত। অভিযোগ, শঙ্করবাবুকে মারতে দেখে রোহিত ওই দুই যুবককে ধরতে গেলে পুলিশেরই একটি লাঠি কেড়ে নিয়ে তাঁকে আক্রমণ করেন ওই দু’জন। অভিযোগ, রোহিতকে রাস্তায় ফেলে লাঠি দিয়ে তাঁর মাথায়, বুকে মারা হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় রোহিত ও শঙ্করবাবু হাওড়া হাসপাতালে ভর্তি। হাওড়ার এসিপি (ট্রাফিক) অশোক চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘গোটা ঘটনাটি সিসি ক্যামেরার ধরা পড়েছে। দু’জনকেই পুলিশকে মারধর ও আইনভঙ্গের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে। স্কুটিটি বাজেয়াপ্ত হয়েছে।’’