ফাইল চিত্র
২১ জুলাই দলের সভায় ভাড়া করা বাসে কারা যাবেন তা নিয়ে গ্রামে দ্বন্দ্ব ছিল তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর। আর তার জেরে শুক্রবার রাতে গোঘাটের দহিয়াকাদা গ্রামে রফিকুল ইসলাম নামে এক তৃণমূল নেতাকে হাত-পা বেঁধে পিটিয়ে খুনের চেষ্টার অভিযোগ উঠল অন্য গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে।
শনিবার ভোরে গ্রাম থেকে প্রায় দেড় কিলোমিটার দূরে এক পুকুর পাড় থেকে রফিকুলের হাত-পা বাঁধা, মুখে দলীয় পতাকা গোঁজা অচেতন দেহ উদ্ধার করলেন গ্রামবাসীরা। রফিকুল আপাতত আশঙ্কজনক অবস্থায় আরামবাগ মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
রফিকুলের বাবা থানায় বুথ সভাপতি জান মহম্মদের বিরুদ্ধে মৌখিকভাবে খুনের চেষ্টার অভিযোগ দায়ের করেছেন। পুলিশ জানিয়েছে, লিখিত অভিযোগ পেলেই ঘটনার তদন্ত শুরু হবে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ২১ জুলাই সভার জন্য প্রতি বছরের মতো এ বছরও তৃণমূল ব্লক কমিটির তরফে একটি বাস ভাড়া করার জন্য টাকা দেওয়া হয়েছিল। ওই বাসে দলের কে কে যাবেন তা নিয়ে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর তরফে তালিকা দেওয়া হয়। অভিযোগ, বুথ কমিটির সভাপতি জান মহম্মদ ওরফে বকুলের সঙ্গে সেই তালিকা নিয়েই শুক্রবার ঝামেলা বেঁধেছিল রফিকুলের। রাত সাড়ে তিনটে নাগাদ রফিকুল বাড়ি থেকে বেরিয়ে বাস দখল করতে যান বলে অভিযোগ। আর সেই সময়ই তাঁর বাইক আটকে মুখে দলীয় পতাকা গুঁজে, হাত-পা বেঁধে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ।
রফিকুলের বাবা শেখ আব্দুল সুকুরের অভিযোগ, “রফিকুলের সঙ্গে বুথ সভাপতি জান মহম্মদের মতবিরোধ ছিলই। জান এবং তার ঘনিষ্ঠ নাসের আহম্মদ, নিজাম আহম্মদরা বৃহস্পতিবার থেকে আমার ছেলেকে হুমকিও দিচ্ছিল। ওরাই আমার ছেলেকে খুন করার চেষ্টা করেছে।” রফিকুলের বাবার অভিযোগ ‘ভিত্তিহীন’ বলে জান মহম্মদের দাবি, ‘‘ওত রাতে কোনও দুষ্কৃতী এই কাজ করেছে। এই ঘটনার সঙ্গে দলের কোনও যোগ নেই।’’
তৃণমূলের গোঘাট-১ ব্লক সভাপতি মনোরঞ্জন পাল বলেন, “দহিয়াকাদায় দলের ছেলেদের অন্তর্দ্বন্দ্ব ছিল ঠিকই। কিন্তু তা মিটিয়ে দেওয়া হয়েছিল। রফিকুল কি বলে, তার জন্যই আমরাও অপেক্ষা করছি।’’