পুলিশ নিগ্রহে অভিযুক্ত তৃণমূল নেত্রীকে বহিষ্কার

দিনকয়েক আগে হাওড়া জেলা তৃণমূলের তফসিলি জাতি-উপজাতি সেলের সভানেত্রী ঝুমঝুম নস্করের বিরুদ্ধে সরকারি কাজে বাধা দেওয়া এবং পুলিশ নিগ্রহের অভিযোগ উঠেছিল। সেই অভিযোগে ঝুমঝুমকে বহিষ্কার করল দল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

সাঁকরাইল শেষ আপডেট: ০৬ নভেম্বর ২০১৬ ০২:৪০
Share:

দিনকয়েক আগে হাওড়া জেলা তৃণমূলের তফসিলি জাতি-উপজাতি সেলের সভানেত্রী ঝুমঝুম নস্করের বিরুদ্ধে সরকারি কাজে বাধা দেওয়া এবং পুলিশ নিগ্রহের অভিযোগ উঠেছিল। সেই অভিযোগে ঝুমঝুমকে বহিষ্কার করল দল।

Advertisement

রবিবার জেলা তৃণমূল সভাপতি (সদর) তথা সমবায়মন্ত্রী অরূপ রায় ওই বহিষ্কারের কথা জানিয়ে বলেন, ‘‘পুলিশ নিগ্রহের ঘটনায় ঝুমঝুম জড়িত থাকার অভিযোগ দলীয় তদন্তে প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে। দলের পক্ষ থেকে হাওড়ার দায়িত্বপ্রাপ্ত ফিরহাদ হাকিম আমাকে জানিয়েছেন ঝুমঝুম নস্করকে বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলের শৃঙ্খলা রক্ষা কমিটি।’’

ঝুমঝুমের বিরুদ্ধে পুলিশ নিগ্রহের অভিযোগটি ওঠে গত ২৪ অক্টোবর। সে দিন রাত ৮টা নাগাদ সাঁকরাইলের দুইল্যাতে একটি পেট্রোল পাম্পের কাছে পুলিশ আড়গোড়ি এলাকার এক অ্যাসিড হানায় অভিযুক্তকে ধরে। সঙ্গে সঙ্গে সেখানে হাজির হন ঝুমঝুম। তিনি পুলিশের হাত থেকে ধৃতকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন। পুলিশকে চড়-থাপ্পড় মারা এবং এক পুলিশকর্মীকে কামড়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে তাঁর বিরুদ্ধে। শেষ পর্যন্ত স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ এগিয়ে আসেন। তাঁদের সহায়তায় পুলিশ অভিযুক্তকে ধরে থানায় নিয়ে যায়। ঝুমঝুমের বিরুদ্ধেও মামলা রুজু করে পুলিশ।

Advertisement

ঝুমঝুম সাঁকরাইলের বিধায়ক শীতল সর্দারের অনুগামী বলে পরিচিত। ঘটনার দিনেই তাঁর প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে ঝুমঝুমকে কার্যত সমর্থন করে শীতলবাবু জানান, এক নিরীহ ছেলেকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছিল। তাকে যখন পুলিশ ধরতে আসে ঝুমঝুম তার প্রতিবাদ করেন। এতে অন্যায়ের কিছু নেই। তিনি পুলিশকে হেনস্থা করেননি বলেও দাবি করেন শীতলবাবু। তবে রবিবার ঝুমঝুমকে বহিষ্কারের করার পরে শীতলবাবুর প্রতিক্রিয়া জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, ‘‘পরে কথা বলব।’’ আর ফোন ধরেননি। ঝুমঝুমের মোবাইল বন্ধ ছিল। হাওড়া (গ্রামীণ) জেলা পুলিশের এক কর্তা জানান, ঝুমঝুমের খোঁজে তল্লাশি অভিয়ান চলছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement