Arrjun Singh

দিলীপের দাদাকে শোকজ়ের সিদ্ধান্ত

দলের যুবনেতা শঙ্কুদেব পণ্ডাকে নিয়ে বৃহস্পতিবার রাতে কোন্নগরের কানাইপুরে আচ্ছালাল যাদবের বাড়িতে যান বিজেপি সাংসদ অর্জুন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

চুঁচুড়া শেষ আপডেট: ২০ ডিসেম্বর ২০২০ ০৫:১৫
Share:

প্রতীকী ছবি।

বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিংহ বৃহস্পতিবার রাতে তাঁর বাড়িতে গিয়েছিলেন। তাই শ্রীরামপুর-উত্তরপাড়া ব্লকের কানাইপুর পঞ্চায়েতের তৃণমূল প্রধান আচ্ছালাল যাদবকে কারণ দর্শানোর চিঠি পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিল দল।

Advertisement

আচ্ছালাল তৃণমূলের হুগলি জেলা সভাপতি দিলীপ যাদবের দাদা। শনিবার দিলীপ বলেন, ‘‘সে দিন ঠিক কী ঘটেছিল আর কেনই বা তা ঘটল, সে সব জানতেই কানাইপুরের দলীয় প্রধানকে চিঠি দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে দলীয় পর্যায়ে।’’ এ নিয়ে আচ্ছালাল বলেন, ‘‘আমি তৈরিই আছি। দল জানতে চাইলে সুবিধাই হবে। আমি দলের জেলা সভাপতি এবং রাজ্য সভাপতিকে সেই রাতের বিষয়টি লিখিত ভাবে জানাব। কারণ, সে রাতের ঘটনাটা আমার তরফেও দলকে পরিষ্কার ভাবে জানানো প্রয়োজন বলেই মনে করছি।’’

দলের যুবনেতা শঙ্কুদেব পণ্ডাকে নিয়ে বৃহস্পতিবার রাতে কোন্নগরের কানাইপুরে আচ্ছালাল যাদবের বাড়িতে যান বিজেপি সাংসদ অর্জুন। তার আগে নির্দিষ্ট কোনও কাজে সেখানে গিয়েছিলেন বিজেপির দুই নেতা। আগেই আচ্ছালাল জানিয়েছিলেন, তাঁর বাড়ির দরজায় এসে ওই দুই বিজেপি নেতা ডাকাডাকি করেন। ভদ্রতাবশতই তিনি তাঁদের বাড়িতে বসান। পূর্ব নির্ধারিত কোনও কর্মসূচি ছিল না। আচ্ছালাল মনে করেন, ‘‘আমি যেহেতু দলের জেলা সভাপতির দাদা, তাই আমাকে রাজনৈতিক ভাবে কিছুটা প্যাঁচে ফেলতেই ওঁরা সে দিন আমার বাড়িতে আসেন।’’

Advertisement

কানাইপুরের প্রধান যে ব্যাখ্যাই দিন, ওই ঘটনার পর কিন্তু জলঘোলা হতে শুরু করে। দৃশ্যতই কিছুটা অপ্রস্তুত শাসকদলের জেলা নেতৃত্ব। এ দিকে, শনিবার হুগলির একগুচ্ছ তৃণমূল নেতা মেদিনীপুরে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সভায় গিয়ে বিজেপিতে যোগ দেন। তাঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য জেলা পরিষদের অধ্যক্ষ সমীরণ মিত্র, পুড়শুড়ার প্রাক্তন বিধায়ক পারভেজ রহমান, ডানকুনি পুরসভার প্রাক্তন উপ-পুরপ্রধান দেবাশিস মুখোপাধ্যায়।

যদিও দলীয় ভাবে ওই যোগদানের ব্যাপারে এ দিন জেলা তৃণমূল নেতৃত্বের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি। দলের এক জেলা নেতা শুধু বলেন, ‘‘পুরো বিষয়টিই আমরা রাজ্যস্তরে জানিয়ে দিয়েছি। যা বলার রাজ্য নেতৃত্বই বলবেন।’’

পারভেজ শুধু বলেন, ‘‘দলে দুর্নীতির প্রতিবাদ করি, শুভেন্দুর সঙ্গে মেলামেশা করি বলে দল ডাকে না। কোনও কমিটিতেও রাখেনি। মানুষের জন্য কাজ করতে একটা মঞ্চ বা প্ল্যাটফর্ম দরকার। তাই বিজেপিতে যোগ দিলাম।’’ তৃণমূলের জন্মলগ্ন থেকে দলে থাকা ওই নেতা শেষবার বিধানসভা ভোটে টিকিট না-পাওয়ায় ক্ষুব্ধ ছিলেন। দলের কর্মসূচিতে তেমন ডাক পাচ্ছিলেন না।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement