নিজস্ব চিত্র।
হাওড়ার লেকল্যান্ড কান্ট্রি ক্লাবে রবিবার দুপুরে নিজের অনুগত নেতাদের নিয়ে সভা করলেন রাজ্যের সমবায় মন্ত্রী তথা হাওড়া সদর তৃণমূল কংগ্রেসের চেয়ারম্যান অরূপ রায়। এ নিয়ে তৃণমূলের অন্দরে ইতিমধ্যেই জল্পনা শুরু হয়ে গিয়েছে। নিজেদের দ্বন্দ্ব মেটাতে আজ যখন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে আলোচনায় বসেন তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব, তখন একই দিনে নিজের অনুগামীদের নিয়ে অরূপের বৈঠক যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
দলীয় সূত্রে খবর, এই বৈঠকে অরূপ-ঘনিষ্ঠ বিধায়ক, প্রাক্তন মেয়র পরিষদ সদস্য এবং প্রাক্তন কাউন্সিলররা উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়াও জেলা পরিষদের সভাধিপতি, সহ-সভাধিপতি, ব্লক স্তরের নেতারাও হাজির ছিলেন। তবে এই বৈঠকে ছিলেন না সদরের সভাপতি লক্ষ্মীরতন শুক্ল।
রাজীব অনুগামীদের বৈঠক।
বৈঠকে দুয়ারে সরকার, স্বাস্থ্য সাথী ও ভোটার তালিকা সংশোধন-সহ নানা কর্মসূচি নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ার নির্দেশ দেন অরূপ। তিনি বলেন, “এটা একটা গেট টুগেদার ছিল, যা অনেক আগেই ঠিক করা হয়েছিল।”
অন্য দিকে আজ সন্ধ্যাতেই মধ্য হাওড়ায় রায় ভবনে পাল্টা চা চক্রের আয়োজন করেন রাজীব অনুগামীরা। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন মেয়র রথীন চক্রবর্তী এবং কয়েক জন প্রাক্তন কাউন্সিলর-সহ শ’খানেক তৃণমূল কর্মী। রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের জয়ধ্বনি শোনা যায় নেতাদের গলায়। রথীন বলেন, “রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় তৃণমূলের অন্যতম নেতা। তাঁর নামে জয়ধ্বনি দিলে কোনও অসুবিধা নেই।” তবে আজকের অনুষ্ঠানকে তিনি অরূপের ‘গেট টুগেদারের’ পাল্টা চা চক্র বলতে নারাজ। মধ্য হাওড়ায় অনুষ্ঠান হলে কেন এই কেন্দ্রের বিধায়ক অরূপকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি? এ প্রসঙ্গে প্রাক্তন মেয়র বলেন, “দলের কর্মীরা একত্রিত হয়ে এই অনুষ্ঠান করেছে সেখানে আলাদা ভাবে কাউকে বলার কী আছে।”