পঞ্চায়েত নির্বাচনের বেশি দেরি নেই। কিন্তু তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল কমছে না হাওড়ার ডোমজুড়ে। রবিবার ডোমজুড় অঞ্চল তৃণমূলের একটি সভায় ফের সামনে এল ওই এলাকার তৃণমূল কর্মীদের দ্বন্দ্ব। স্থানীয় বিধায়কের উপস্থিতিতেই চলল ধাক্কাধাক্কি।
তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন ডোমজুড় ফোকর দোকান এলাকার একটি অনুষ্ঠান বাড়ির হলঘরে ডোমজুড় অঞ্চল তৃণমূলের কর্মিসভা ছিল। সেখানে প্রথমে বক্তব্য পেশ করেন স্থানীয় বিধায়ক আব্দুল গণি। তাঁর বক্তব্য শেষ হওয়ার পরেই একদল কর্মী উঠে ডোমজুড় অঞ্চল তৃণমূলের সভাপতি তড়িৎ দেবের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তাঁরা দাবি করতে থাকেন, তড়িৎবাবু দীর্ঘদিন ধরে দলের নানা পদে রয়েছেন। একই সঙ্গে তিনি ডোমজুড় পঞ্চায়েতের উপপ্রধান। তাই তাঁকে অঞ্চল তৃণমূলের সভাপতির পদ ছাড়তে হবে। বিধায়ক বিষয়টি লিখিতভাবে জানাতে বলেন। এর পরে গোলমাল আরও বাড়ে। সভা শেষ হওয়ার আগেই বিধায়ক বেরিয়ে যান। তার পর হলের মধ্যেই দু’দলের মধ্যে ধাক্কাধাক্কি শুরু হয়ে যায়।
বিক্ষুব্ধরা স্থানীয় তৃণমূল নেতা সমীর বাগের অনুগামী বলে পরিচিত। সমীরবাবু বলেন, ‘‘দলের কর্মীরা তড়িৎবাবুকে সভাপতি হিসাবে চান না। সে কথাই তাঁরা বিধায়ককে জানাতে গিয়েছিলেন। বিধায়ক কর্মীদের কথা শুনতে চাননি।’’ তড়িৎবাবুর পাল্টা দাবি, ‘‘আমি অঞ্চল তৃণমূলের সভাপতি হওয়ায় ডোমজুড় পঞ্চায়েত সমিতির কয়েকজন কর্মাধ্যক্ষের কাজে অসুবিধা হবে। তাই তাঁরাই কলকাঠি নেড়ে এ দিন বিক্ষোভ করিয়েছেন।’’
বিধায়ক আব্দুল গনি বলেন, ‘‘অঞ্চল তৃণমূলের সভাপতি পদে নিয়োগপত্র দেওয়ার ব্যাপারে কয়েকজন কিছু বলতে চাইছিলেন। আমি বলেছি লিখিত দিতে। এটা বড় কিছু ব্যাপার নয়।’’