‘এক কাপ চা খেয়ে যান গো’, বন্‌ধের দিনে ডাক তৃণমূলের পুরপ্রধানের

পিছন থেকে ডাক দিয়েছেন তৃণমূলের ব্লক সভাপতি ও আরামবাগ পুরসভার চেয়ারম্যান স্বপনবাবু। 

Advertisement

পীযূষ নন্দী

আরামবাগ শেষ আপডেট: ০৯ জানুয়ারি ২০১৯ ০৩:২৫
Share:

তৎপর: বাসচালককে চা খাওয়াচ্ছেন পুরপ্রধান স্বপন নন্দী। ছবি: মোহন দাস।

‘এক কাপ চা খেয়ে যান গো”— ডাকলেন স্বপন নন্দী। বামেদের ডাকা সাধারণ ধর্মঘটের দিনে বাস চালক এবং কর্মী যাঁকেই দেখতে পেয়েছেন, পিছন থেকে ডাক দিয়েছেন তৃণমূলের ব্লক সভাপতি ও আরামবাগ পুরসভার চেয়ারম্যান স্বপনবাবু।

Advertisement

হতভম্ভ বাসকর্মীরা কিছু বলার আগেই ছোট কাগজের কাপে চা ধরিয়েও দিলেন চিনি। শুধু কি চা? সঙ্গে বিস্কুট এবং পানীয় জলের পাত্র। সকাল ১০টা নাগাদ একটি টোটো নিয়ে বাসস্ট্যান্ডে হাজির হয়েছিলেন স্বপনবাবু। রাস্তা দিয়ে লরি, টোটো, অটো যা দেখেছেন হাঁক দিয়েছেন, ‘অনেক ভোরে বেরিয়েছেন। একটু চা খেয়ে যান’।

সে আমন্ত্রণে চা খেয়েছেন পথচারীরাও। বাসট্যান্ডের খান পাঁচ চায়ের দোকান থেকে কেটলি-কেটলি চা আর বিস্কুট নিয়ে দলের ছেলেরাও ছোটাছুটি করছেন সারা সকাল। সাড়ে ১০টা থেকে টানা দু’ঘণ্টায় প্রায় ১৫-২০ কেটলি চা বিক্রি হয়েছে বলে জানিয়েছেন এক বিক্রেতা। চায়ের দামও হাতে হাতে পেয়ে গিয়েছেন তাঁরা।

Advertisement

তৃণমূল নেতার কাণ্ড দেখতে ভিড়ও জমেছিল। এ সব সেরে চেয়ারম্যান এ দিন যখন পুরসভায় গেলেন তখন দুপুর সাড়ে ১২টা। স্বপনবাবু বলেন, ‘‘বামেদের ডাকা বন্‌ধ উপেক্ষা করে মহকুমাকে সচল রাখার জন্যই চা খাইয়েছি মানুষকে, ধন্যবাদ জানিয়েছি।”

অন্য দিনের মতোই কর্মব্যস্ত আরামবাগ শহর। —নিজস্ব চিত্র।

এলাকার বাসিন্দারা অবশ্য বলছেন অন্য কথা। আরামবাগ শহরের এক যুবক বলেই ফেললেন, ‘‘বামেরা বন্‌ধ ডাকলেই আরামবাগে অন্য আমেজ আনে তৃণমূল। সরকারি আধিকারিকের দেখা পেতে হয়তো সারা বছর আপনার জুতোর শুকতলা খুলে যায়। বন্‌ধের দিন অফিস চলে যান, ঠিক পেয়ে যাবেন তাঁকে। রোজ এমন বন্‌ধ হলে রাজ্যের কর্মসংস্কৃতিটা ফেরে আর কি।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement