মাদ্রাসার অভিভাবক প্রতিনিধি নির্বাচনে বিরোধীদের হটিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। রবিবার চণ্ডীতলার কুমিরমোড়ার মাঝেরহাট ইউনিয়ন হাই মাদ্রাসার ঘটনা। ভোটে সব আসনেই জিতেছে তৃণমূল।
মাদ্রাসা সূত্রে খবর, নির্বাচনে তৃণমূলের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছিলেন কংগ্রেস প্রভাবিত প্রার্থীরা। তাঁদের সমর্থন করে সিপিএম। ছ’টি আসনের প্রত্যেকটিতেই তৃণমূল প্রার্থী দেয়। বিরোধীরা ৫টি আসনে মনোনয়ন জমা দিয়েছিল। তার মধ্যে দু’টি স্ক্রুটিনিতে বাতিল হয়ে যায়। ফলে তিনটি আসনে তৃণমূল বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতে যায়। এ দিন বাকি তিনটি আসনে ভোট ছিল। অভিযোগ, ঘণ্টাদেড়েক ভোট চলার পরে বিরোধীদের বুথ থেকে বের করে দেন তৃণমূলের লোকজন। সিপিএম নেতৃত্বের অভিযোগ, গত কয়েক বছর ধরে তৃণমূলের বাধায় তাঁরা মনোনয়ন জমা দিতে পারেননি। এ বার তাই কৌশল বদলে কংগ্রেসকে সমর্থন করা হয়। চণ্ডীতলার সিপিএম নেতা আজিম আলি বলেন, ‘‘ভোটে হেরে যাবে, এটা বুঝেই ওরা ঝুঁকি নেয়নি। নিজেরাই ভোট দিয়ে দেয়। পুলিশ দর্শকের ভূমিকায় ছিল।’’ পুলিশ অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে। তাদের বক্তব্য, ভোটে অনিয়ম নিয়ে কেউ অভিযোগ করেনি। জেলা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক সুবীর মুখোপাধ্যায়ের দাবি, ‘‘খুব সামান্য ভোট পেয়েছে ওরা। ভোটে হেরে এখন মুখ বাঁচাতে মিথ্যা অভিযোগ করছে। তেমন হলে তো ওদের মনোনয়ন জমা করতেই দেওয়া হত না!’’