প্রতীকী ছবি।
বিহার-ওড়িশা থেকে এক কোটি টাকারও বেশি মূল্যের চরস ও গাঁজা এনে হাতেনাতে ধরা পড়ে গেল তিন মাদক পাচারকারী। কলকাতা পুলিশের এসটিএফ ও হাওড়া রেলপুলিশের যৌথ হানায় ধরা পড়েছে তারা। ধৃতদের নাম মৃত্যুঞ্জয় কুমার, মহম্মদ মনিরুদ্দিন এবং প্রদীপ রুইতা। গত কয়েক মাসের মধ্যে শুধু হাওড়া স্টেশন থেকেই রেলপুলিশ ও আরপিএফ কয়েক লক্ষ টাকার মাদক বাজেয়াপ্ত করেছে।
এর আগে ভিন্ রাজ্য থেকে কলকাতায় ঢোকার আগে হাওড়ায় জাতীয় সড়কে পুলিশের হাতে বারবার মাদক-সহ ধরা পড়েছে পাচারকারীরা। সম্প্রতি তারা রেলপথ ব্যবহার শুরু করায় ব্যস্ত স্টেশন হিসেবে
হাওড়াকেই বেছে নেয়। শুক্রবার এক সাংবাদিক সম্মেলনে হাওড়ার ডেপুটি রেলপুলিশ সুপার শিশিরকুমার মিত্র জানান, গোপন সূত্রে খবর আসে হাওড়া স্টেশনের পুরনো কমপ্লেক্সে প্রচুর পরিমাণ চরস ও গাঁজা আসছে। এর পরেই এসটিএফ ও রেলপুলিশ বৃহস্পতিবার রাতে যৌথ ভাবে হানা দেয় ডাউন কাঠগোদাম এক্সপ্রেসে। ট্রেন থেকে নামার সময়ে দু’জন সন্দেহভাজনকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে পুলিশ। ধৃতদের সঙ্গে থাকা দু’টি ব্যাগ থেকে পাওয়া যায় মোট ৮ কেজি ৪৫০ গ্রাম চরস। রেলপুলিশ জানায়, এর পরেই উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা মৃত্যুঞ্জয় ও বিহারের বেতিয়ার বাসিন্দা মনিরুদ্দিনকে গ্রেফতার করা হয়। বাজেয়াপ্ত করা ওই মাদকের বাজারমূল্য এক কোটি টাকা।
ডেপুটি রেলপুলিশ সুপার জানান, ওই দিনই ইস্ট-কোস্ট এক্সপ্রেসে এক ব্যক্তির কাছে থেকে মেলে ২১ কেজি গাঁজা। আড়াই লক্ষ টাকা দামের ওই গাঁজা তিনি একটি ট্রলি ব্যাগে করে আনছিলেন। রেলপুলিশ জানায়, ব্যাগ খুলে তল্লাশির সময়ে গাঁজা উদ্ধার হতেই ওড়িশার বাসিন্দা প্রদীপকে গ্রেফতার করা হয়েছে। রেলপুলিশ জানায়, গাঁজা ওড়িশা থেকে আনা হলেও চরস ট্রেনে তোলা হয়েছিল বেতিয়া থেকে। তাই বেতিয়ায় গিয়ে রেলপুলিশ তদন্ত করে দেখবে পাচার চক্রের মাথা কারা।