গত রবিবার নদিয়ার গয়েশপুরে মহুয়া দলীয় কর্মীসভায় সাংবাদিকদের সম্পর্কে একটি মন্তব্য করেন। ওই কর্মীসভায় ‘‘দু’পয়সার সাংবাদিক’’দের কে ডেকেছে তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি।
কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রের ‘‘দু’পয়সার সাংবাদিক’’ নিয়ে বিতর্ক এখনও থামেনি। তার মধ্যেই মহুয়ার উল্টো অবস্থান নিলেন তাঁরই দলের বিধায়ক তথা সাংবাদিক প্রবীর ঘোষাল। মহুয়ার কাছ থেকে এমন মন্তব্য প্রত্যাশিত নয় বলেই মত তাঁর।
গত রবিবার নদিয়ার গয়েশপুরে মহুয়া দলীয় কর্মীসভায় সাংবাদিকদের সম্পর্কে একটি মন্তব্য করেন। ওই কর্মীসভায় ‘‘দু’পয়সার সাংবাদিক’’দের কে ডেকেছে তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি। সেই বক্তব্যের ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়তেই বিতর্কর সূত্রপাত। যদিও সেই ভিডিয়োর সত্যতা আনন্দবাজার ডিজিটাল যাচাই করেনি। কলকাতা প্রেস ক্লাবের তরফে আশা করা হয়, মহুয়া ‘ক্ষমা’ চাইবেন। সোমবার রাতে অবশ্য মহুয়া টুইট করে জানান, ‘আই অ্যাপোলোজাইজ ফর দ্য মিন হার্টফুল অ্যাকিউরেট থিংস আই সেড (নিম্নমানের দুঃখজনক সঠিক কথা বলার জন্য আমি ক্ষমাপ্রার্থী)’।
বুধবার এ প্রসঙ্গে প্রবীর বলেন, ‘‘মহুয়া মৈত্র একজন সাংসদ। তাঁর কাছে থেকে সংবাদমাধ্যম সম্পর্কে এ ধরনের মন্তব্য আশা করা যায় না। সংবাদমাধ্যম আমার হয়ে কাজ করলে, আমার পক্ষে কাজ করলে, সেটা ভাল! আর আমার যদি কোনও কাজ পছন্দ না হয়, তাহলে খারাপ, এই অবস্থান মোটেই ভাল নয়।’’
আরও পড়ুন: হঠাৎ পদত্যাগ করলেন সিউড়ি পৌরসভার প্রশাসক মণ্ডলীর চেয়ারপার্সন
সংবাদকর্মীদের একটা বড় অংশ মহুয়ার ওই মন্তব্য নিয়ে সমালোচনা করেছে। প্রবীর তাঁর পেশাগত জীবনের অতীত তুলে ধরে বলেন, ‘‘আমি সাংবাদিক ছিলাম ৩৬ বছর। এখন বিধায়ক হয়েছি। দুটো সত্ত্বা থেকেই এটার নিন্দা করছি। প্রত্যেকেরই নিন্দা করা উচিত। তৃণমূল বা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই কথাকে সমর্থন করেন না।’’
আরও পড়ুন: দ্বিতীয় বার ময়নাতদন্ত হবে গুলিবিদ্ধ বিজেপি কর্মীর, নির্দেশ দিল আদালত