গায়ে শুঁয়োপোকা পড়েছে শুনে ভয়ে আর্তনাদ করে মাটিতে পড়ে গিয়েছিলেন বছর বাহান্নর মহম্মদ আক্রম। তাঁকে ঘিরে ভিড় জমে যায় ব্যাঙ্কে আসা মানুষজনের। সেই ভিড়ে মিশে গিয়ে বছর পঞ্চাশের এক ব্যক্তি আক্রমের ব্যাগ থেকে টাকা বার করে নেওয়ার চেষ্টা করতেই তাকে ধরে ফেললেন এক ট্রাফিক পুলিশকর্মী।
বৃহস্পতিবার সকালে এ ভাবেই লিলুয়া ডন বস্কো এলাকায় এক কেপমারকে ধরে ফেললেন কর্তব্যরত ট্রাফিক কনস্টেবল। পরে বেলুড় থানার পুলিশ এসে রতন সিংহ নামে ওই কেপমারকে গ্রেফতার করে। সে শ্রীরামপুরের ডোমপট্টি এলাকার বাসিন্দা।
পুলিশ সূত্রের খবর, এ দিন পৌনে ১১টা নাগাদ লিলুয়ার একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক থেকে টাকা তুলে দু’টি ক্রাচে ভর দিয়ে বেরোচ্ছিলেন আক্রম। প্রধান দরজার সামনে আসতেই রতন তাঁর পাশে এসে বলে, ‘আপনার গায়ে শুঁয়োপোকা।’ এ কথা শুনেই হকচকিয়ে গিয়ে রাস্তায় পড়ে যান বেলুড়ের ডাঃ শামিম খান রোডের বাসিন্দা আক্রম।
তিনি জানান, তাঁর চিৎকারে চারপাশে লোকজন জমে যায়। ভিড় দেখে সেখানে এসে হাজির হন জি টি রোডের ডন বস্কো মোড়ে কর্তব্যরত বালি ট্রাফিকের কনস্টেবল তরুণ চক্রবর্তী। আক্রম জামা খুলে দেখার সময় রতন তাঁর পাশে এসে ব্যাগ থেকে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করতেই তাকে ধরে ফেলেন তরুণবাবু। আক্রমবাবু বলেন, ‘‘ওই লোকটিই আমাকে শুঁয়োপোকার ভয় দেখিয়েছিল জানাতেই লোকজন ওঁকে মারধর শুরু করে। কিন্তু ওই কনস্টেবল তাঁকে ছাড়িয়ে নিয়ে চলে যান।’’
রতনকে জনতার হাত থেকে বাঁচিয়ে লিলুয়া স্টেশন রোডের সামনে ট্রাফিক পোস্টে নিয়ে আসেন তরুণবাবু। পরে বেলুড় থানার টহলদারি গাড়ি এসে ওই কেপমারকে নিয়ে যায়। তদন্তকারীরা জানান, রতনের সঙ্গে আরও এক জন ছিল। সে সুযোগ বুঝে চম্পট দেয়। হাতে ব্যাগ ঝুলিয়ে বেশ কিছু সময় ধরেই ব্যাঙ্কে ঘোরাঘুরি করছিল রতন ও ওই ব্যক্তি। আক্রমকে বেশ কিছুক্ষণ ধরে লক্ষ্য করার পরেই টাকা হাতানোর চেষ্টা করেছিল তারা। হাওড়া সিটি পুলিশের কর্তারা জানান, ওই কনস্টেবলকে পুরস্কৃত করা হবে।