লন্ডভন্ড ঘর। ছবি: তাপস ঘোষ।
জেলা সদরে একের পর এক চুরির ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে চুঁচুড়ায়। সপ্তাহ খানেক আগেই চুরির ঘটনা ঘটে। ফের গত শনিবার রাতে চুঁচুড়ার যুগিপাড়ায় বাড়ি ফাঁকা থাকার সুযোগ নিয়ে দরজার তালা ভেঙে লুঠপাট চালিয়ে পালায় দুষ্কৃতীরা।
জেলা পুলিশের এক কর্তা জানান, প্রতিটা ক্ষেত্রেই তদন্ত করে কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে চুরি বাড়ায় বহিরাগতদের উপর নজর রাখা হচ্ছে। এলাকায় অচেনা-অপরিচিত লোকজন দেখলে বা কোনওরকম সন্দেহ হলে নিকটবর্তী থানায় জানাতে বলা হয়েছে।’’
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, যুগিপাড়ার বাসিন্দা ব্যাঙ্ককর্মী বিজয় মুখোপাধ্যায়ের বাড়িতে শনিবার রাতে রাত্রে দরজার তালা ভেঙে চুরি হয়। পরিবারের অভিযোগ, দুষ্কৃতীরা আলমারি ভেঙে সোনার গয়না-সহ নগদ কয়েক লক্ষ টাকা ও জিনিসপত্র নিয়ে গিয়েছে। ওই দিন সন্ধ্যায় বিজয়বাবু স্ত্রীর অসুস্থতার জন্য তাঁকে নিয়ে চিকিৎসকের কাছে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে তিনি স্ত্রীকে নিয়ে চুঁচুড়ার আখনবাজার এলাকায় মেয়ের বাড়িতে যান। বিজয়বাবু বলেন, ‘‘বাড়ি ফিরতে বেশ রাত হয়ে যায়। বাড়িতে ফিরে দরজার তালা খুলতে গিয়ে দেখি তালা ভাঙা। ভিতরে ঢুকে দেখি আলমারি খোলা। আলমারির সমস্ত জিনিসপত্র লন্ডভন্ড।’’
সম্প্রতি বাড়ি ফাঁকা থাকার সুযোগে চুঁচুড়া থানা এলাকায় কয়েকটি চুরি হয়। কয়েকদিন আগে পোলবার নারায়ণপাড়ায় গ্রামবাসীরা চার চোরকে ধরে গণধোলাই দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেন। চুঁচুড়ার বাসিন্দা অসীম চট্ট্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘গত কয়েক মাস ধরে চুরির প্রকোপ বেড়ে গিয়েছে। বাড়ি ফাঁকা রেখে কোথাও যেতেই ভয় করছে। কোনও বাড়ি ফাঁকা থাকলে সেই খবর দুষ্কৃতীদের কাছে পৌঁছে যাচ্ছে। পুলিশের বিষয়টি ভাল করে খোঁজ করা উচিত।’’