National Highway Authority of India

দুর্ঘটনা রুখতে লে-বাই বাড়ছে এক্সপ্রেসওয়েতে

দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়েতে প্রায়ই দাঁড়িয়ে থাকা গাড়িতে চলন্ত গাড়ির ধাক্কা লেগে দুর্ঘটনা ঘটে।

Advertisement

গৌতম বন্দ্যোপাধ্যায়

ডানকুনি শেষ আপডেট: ২৭ জুলাই ২০২০ ০৩:২৩
Share:

প্রতীকী ছবি

দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ে ঢেলে সাজানোর পরিকল্পনা করেছে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ। পরিকল্পনা অনুযায়ী এক্সপ্রেসওয়েটি ছয় লেন করার পাশাপশি লে বাই-এর (গাড়ি দাঁড় করিয়ে রাখার জায়গা) সংখ্যা এক থেকে বাড়িয়ে ১৯টি করার কথা বলা হয়েছে। বাড়বে উড়ালপুল এবং আন্ডারপাসের সংখ্যাও।

Advertisement

দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়েতে প্রায়ই দাঁড়িয়ে থাকা গাড়িতে চলন্ত গাড়ির ধাক্কা লেগে দুর্ঘটনা ঘটে। একটি তদন্তে উঠে এসেছে, ডানকুনি থেকে পালসিট, এই দীর্ঘ ৬৫ কিলোমিটার রাস্তায় গাড়ি দাঁড় করিয়ে রাখার জায়গা খুবই কম। ফলে, গাড়ি রাস্তার উপর দাঁড়িয়ে থাকে। এক্সপ্রেসওয়েতে গাড়ির গতিবেগ বেশি। চালকেরা অনেকসময়ই গতি নিয়ন্ত্রণ করতে না পারায় দাঁড়িয়ে থাকা গাড়ির সঙ্গে সংঘর্ষে দুর্ঘটনা ঘটে।

দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ের প্রকল্প অধিকর্তা স্বপন কুমার মল্লিক বলেন, ‘‘নতুন পরিকল্পনায় ১৯টি লে-বাই তৈরি করা হচ্ছে। এতে রাস্তায় গাড়ি দাঁড় করিয়ে রাখার সমস্যা মিটবে। প্রতিটি লে-বাইয়ে গাড়ি রাখা ছাড়াও চালকদের খাওয়া, বিশ্রাম ও শৌচাগারের আধুনিক ব্যবস্থা থাকবে।’’

Advertisement

ভিন রাজ্য এবং দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলা থেকে কলকাতায় ঢোকার অন্যতম প্রধান সড়ক দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ে। ডানকুনি থেকে এই সড়কে যখন প্রথম গাড়ি চলাচল শুরু হয়, তখন ডানকুনির পর কাপাসহাড়িয়ায় একটিমাত্র লে-বাই তৈরি করা হয়েছিল।

তবে এত বছরে দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়েতে গাড়ি চলাচলের সংখ্যা বহুগুণ বেড়েছে। ডানকুনি টোলপ্লাজ়া দিয়ে বর্তমানে প্রতিদিন অন্তত ২৫ হাজার গাড়ি চলাচল করে। সমস্যা, গাড়ির সংখ্যার সঙ্গে সঙ্গতি রেখে লে-বাই বাড়েনি। তাছাড়া, বিধি অনুয়ায়ী পণ্যবাহী ট্রাক নিয়ে কলকাতায় ঢোকা যায় না। ফলে, কলকাতামুখী বহু পণ্যবাহী ট্রাকই তাদের মাল খালাস করে ডানকুনি লাগোয়া আশপাশের এলাকায়। সেই ট্রাকগুলিকে রাস্তায় দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। এতে যানজটের পাশাপাশি দুর্ঘটনার আশঙ্কাও বাড়ে। লে-বাইয়ের সংখ্যা বাড়লে এই সমস্যা মিটবে বলে কর্তৃপক্ষের আশা।

এর সঙ্গেই নতুন পরিকল্পনায় বেশ কয়েকটি উড়ালপুলকে সম্প্রসারিত করার কথা বলা হয়েছে। দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়েতে ডানকুনি ও সিঙ্গুরের আগে ঘনশ্যামপুরের উড়ালপুলটি (আরওবি) সম্প্রসারিত করার পরিকল্পনা রয়েছে। তার সঙ্গে নতুন আটটি আন্ডারপাস তৈরি করা হবে। এর মধ্যে পাঁচটি থাকবে মানুষের যাতায়াতের জন্য। বাকি তিনটি দিয়ে গাড়ি চলাচল করবে।

দুর্গাপুর এক্সপ্রেসেওয়ের প্রজেক্ট ম্যানেজার শুভেন্দু চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘ আমরা নতুন পরিকল্পনায় সাধারণ মানুষের চাহিদাকে গুরুত্ব দিয়েছি। তাঁদের কথা মাথায় রেখেই বেশ কয়েকটি আন্ডারপাস তৈরি করা হচ্ছে। এতে সাধারণ মানুষ ব্যস্ত সময়ে যানজটের হাত থেকে রেহাই পাবেন।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement