দু’হাতের কনুইয়ের ভাঁজে দু’টি ইঞ্জেকশনের সিরিঞ্জ ফোটানো অবস্থায় বেহালার এক আয়ুর্বেদিক চিকিৎসকের দেহ মিলল বাগনানের নাওপালার একটি হোটেলের ঘর থেকে। মঙ্গলবার দুপুরের ঘটনা। মৃতের নাম পার্থসারথি গুহ (৩৪)। হাওড়ার (গ্রামীণ) পুলিশ সুপার সুকেশ জৈন জানিয়েছেন, ওই চিকিৎসক আত্মঘাতী হয়েছেন বলে প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে। দেহটি ময়না-তদন্তে পাঠানো হয়েছে। মৃত্যুর কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পুলিশ ও মৃতের পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, বাগনানের একটি নার্সিংহোমে যাওয়ার কথা বলে সোমবার বেলা ১০টা নাগাদ বাড়ি থেকে বের হন বেহালা পর্ণশ্রীর বাসিন্দা পার্থ। বেলা ২টো নাগাদ নাওপালার ওই হোটেলে ঢোকেন। ৩০৩ নম্বর ঘরটি ভাড়া নেন। রাত ৯টা নাগাদ ওয়েটার তাঁর রুমে খাবার দিয়ে আসেন। মঙ্গলবার দুপুরেও তিনি ঘর থেকে না বেরনোয় হোটেলের কর্মীরা বেল বাজান এবং দরজায় ধাক্কা দেন। কিন্তু কোনও সাড়াশব্দ না পেয়ে তাঁরা পুলিশে খবর দেন। পুলিশ গিয়ে দরজা ভেঙে খাটের উপরে পড়ে থাকা পার্থকে উদ্ধার করে বাগনান গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা মৃত ঘোষণা করেন। পার্থর শ্বশুরবাড়ি শ্যামপুরে। খবর পেয়ে শ্বশুরবাড়ির লোকজন বাগনান থানায় আসেন। ও দিকে, বেহালা থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করতে গিয়ে পার্থের পরিবারের লোকেরা তাঁর মৃত্যু সংবাদ পান পুলিশের কাছ থেকে।