প্রতীকী ছবি।
হাওড়ার সরকারি হাসপাতালে এ বার করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট মিলবে দু’ঘণ্টায়। আগে যে রিপোর্ট পেতে সময় লাগত দু’দিন, ‘ট্রুন্যাট’ যন্ত্রের মাধ্যমে এখন সেই পরীক্ষা দ্রুত শেষ করা যাবে। সাংসদ তহবিলের টাকায় হাওড়া জেলার তিনটি সরকারি হাসপাতালে এর জন্য কেনা হয়েছে তিনটি ‘ট্রুন্যাট’ যন্ত্র। জেলা প্রশাসনের দাবি, এখন থেকে পরীক্ষার জন্য শুধুমাত্র কলকাতার হাসপাতালের উপরে নির্ভর করতে হবে না। হাওড়ার হাসপাতালেই দ্রুত পরীক্ষা করা যাবে। এর পাশাপাশি, গত কয়েক সপ্তাহে হাওড়া পুরসভা আরও তিনটি অ্যাম্বুল্যান্স এবং দু’টি শববাহী গাড়ির টাকা পাওয়ায় কোভিড-যুদ্ধে পুরসভা আরও বেশি করে বাসিন্দাদের পাশে থাকতে পারবে বলে দাবি করেছেন পুরকর্তারা।
এর আগে করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট পেতে দেরি এবং হয়রানির অভিযোগ উঠছিল বার বার। অনেক ক্ষেত্রে রোগীর মৃত্যুর পরে পাওয়া যাচ্ছিল রিপোর্ট। এ বার সেই সমস্যা সমাধানে অনেকটাই এগিয়ে গেল হাওড়ার জেলা স্বাস্থ্য দফতর। সোমবার সাংসদ প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাংসদ তহবিল থেকে ৩৪ লক্ষ টাকা দিয়ে টি এল জয়সওয়াল হাসপাতাল, গাববেড়িয়া হাসপাতাল এবং হাওড়া জেলা হাসপাতালে তিনটি ট্রুন্যাট যন্ত্রের উদ্বোধন করা হল। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ভবানী দাস জানান, কয়েক দিন আগেই উলুবেড়িয়া মহকুমা হাসপাতাল ও উদয়নারায়ণপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে দু’টি ট্রুন্যাট যন্ত্র কেনা হয়েছে। জেলায় এখন এই যন্ত্রের মোট সংখ্যা দাঁড়াল পাঁচ। এক একটি যন্ত্রে প্রতিদিন ২৫টি করে নমুনা পরীক্ষা করা যাবে। দু’ঘণ্টার মধ্যেই রিপোর্ট মেলায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রোগীদের চিকিৎসা করতে সুবিধা হবে।
কোভিড অতিমারির সময়ে হাওড়ায় অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা নিয়ে বার বার অভিযোগ উঠেছে। রোগী ও তাঁদের পরিজনেদের অভিযোগ ছিল, শহরে ১৫০টির বেশি অ্যাম্বুল্যান্স থাকলেও কোভিড রোগীদের পরিষেবা দিতে কেউ এগিয়ে আসেনি। অ্যাম্বুল্যান্স না পেয়ে রোগী-মৃত্যুর অভিযোগও উঠেছে একাধিকবার। এ দিন পুরসভার এক কর্তা জানান, লিলুয়া সমবায় ব্যাঙ্ক ও পুরসভার কর্মচারী সমবায় সমিতির পক্ষ থেকে দু’টি শববাহী গাড়ি কেনার টাকা দেওয়া হয়েছে। উত্তর হাওড়ার বিধায়ক তথা রাজ্যের ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী লক্ষ্মীরতন শুক্লও তিনটি অ্যাম্বুল্যান্সের ব্যবস্থা করেছেন। ফলে সব মিলিয়ে হাওড়া পুরসভার মোট অ্যাম্বুল্যান্সের সংখ্যা বেড়ে হল ১৬টি ও শববাহী গাড়ির সংখ্যা বেড়ে হবে পাঁচটি। পুরসভার এক কর্তা বলেন, ‘‘এতগুলি অ্যাম্বুল্যান্স ও শববাহী গাড়ি থাকায় এখন মানুষকে বেশি করে পরিষেবা দেওয়া যাবে।’’