এক বছর আগে স্থানীয় এক বিদ্যালয়ে চালু হয়েছিল সৌরবিদ্যুৎ ব্যবস্থা। সে দিনই এলাকার বিধায়ক তথা মন্ত্রীর কাছে ওই ব্যবস্থার জন্য আবেদন করেছিলেন আর একটি স্কুল কর্তৃপক্ষ। প্রায় এক বছর পরে হাওড়ার জগদীশপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে চালু হল সৌরবিদ্যুৎ ব্যবস্থা। মঙ্গলবার ওই ‘সোলার সিস্টেম’ এর উদ্বোধন করেন ডোমজুড়ের বিধায়ক তথা সেচ মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়।
জগদীশপুর উচ্চ বিদ্যালয় সূত্রের খবর, গোটা স্কুলে মোট ৪৮টি ঘর রয়েছে। পড়ুয়ার সংখ্যা প্রায় ১৬০০। প্রতিদিন স্কুলে পাখা, আলো জ্বালানো-সহ অন্য কাজের জন্য ৫ কেভি বিদ্যুতের প্রয়োজন। স্কুল পরিচালন সমিতির সভাপতি তাপস মাইতি বলেন, ‘‘স্কুল যে সময় বন্ধ কিংবা যখন ছুটি থাকবে তখন সৌর বিদ্যুৎ তখন রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন কোম্পানির গ্রিডে সরাসরি চলে যাবে। তাতে উৎপন্ন বিদ্যুতই নষ্ট হবে না।’’ রাজ্য পরিবেশ দফতরের সহযোগিতায় প্রায় সাড়ে ১৩ লক্ষ টাকা খরচে স্কুলের ছাদে বসানো হয় সৌর প্যানেল।
স্কুল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, গত বছরের মার্চ মাসে বলুহাটি স্কুলে সোলার সিস্টেমের উদ্বোধনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত বিধায়ক তথা মন্ত্রী রাজীববাবুর কাছে জগদীশপুর উচ্চ বিদ্যালয়েও ওই ব্যবস্থা চালুর প্রস্তাব দেয় পরিচালন সমিতি। সেই সময় মঞ্চে উপস্থিত পরিবেশ মন্ত্রী সুদর্শন ঘোষ দস্তিদারের কাছে সেই আবেদন তুলে ধরেন রাজীববাবু। পরিবেশ মন্ত্রীও আশ্বাস দেন এক বছরের মধ্যেই তা বাস্তবায়িত করা হবে।
এ দিন পড়ুয়ারা সৌর বিদ্যুতের উপকারিতা সম্পর্কে একটি নাটকও পরিবেশন করে। রাজীববাবু বলেন, ‘‘সৌরবিদ্যুতের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে পড়ুয়াদের অবহিত করা প্রয়োজন।’’