এই জলাভূমি নিয়ে বিতর্ক। — নিজস্ব চিত্র।
জলাভূমি ভরাট করা যাবে না। রাজ্য সরকারের এই নির্দেশ থাকলেও তা মানা হচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠল হুগলির গুপ্তিপাড়ায়। ওই জলাভূমি ভরাট করা হলে এলাকার নিকাশি ব্যবস্থা ভেঙে পড়বে এবং বর্ষায় সংলগ্ন স্কুল জলমগ্ন হবে বলে স্থানীয় গ্রামবাসীদের অভিযোগ। অবিলম্বে ওই জলাভূমি ভরাট বন্ধ করতে বিষয়টি পুলিশ-প্রশাসনের নজরে এনেছেন গ্রামবাসীরা। লিখিত অভিযোগও জমা পড়েছে। বিডিও (বলাগড়) মোদাশ্বর মোল্লা বলেন, ‘‘অভিযোগ পেয়েছি। ব্লক ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতর বিষয়টি দেখছে। সেখানে মাটি ফেলার কাজ বন্ধ আছে। কোনও পরিস্থিতিতে জলাশয় বোজাতে দেওয়া হবে না। এ ব্যাপারে যা ব্যবস্থা নেওয়ার নেওয়া হবে।’’
গুপ্তিপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের পাশেই রয়েছে ওই জলাভূমি। এলাকাবাসীর দাবি, বহু বছর ধরেই এই জলাশয় এলাকার নিকাশি ব্যবস্থার পক্ষে সহায়ক। সারা বছর তেমন জল না থাকলেও বর্ষায় আশপাশের জমা জল এখানে এসে পড়ে। একই কারণে স্কুল প্রাঙ্গণে জল দাঁড়ায় না। শাসকদলের নেতাদের একাংশের মদতে এই কাজ চলছে বলেও অনেকের অভিযোগ।
স্কুল কর্তৃপক্ষের তরফে থানায় লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। সোমবার বিডিও, ব্লক ভূমি ও ভূমি সংস্কার আধিকারিক, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি, বিধায়ক সকলকে লিখিত ভাবে বিষয়টি জানানো হয় স্কুলের তরফে। স্কুল পরিচালন সমিতির সভাপতি ধ্রুবজ্যোতি ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘বর্ষায় স্কুল প্রাঙ্গণ এবং মাঠের জল ওই জলাশয়ে গিয়ে পড়ে। জলাশয়টি বুজিয়ে দেওয়া হলে নিকাশি ব্যবস্থা ভেঙে পড়বে। স্কুলের ভিতরে জল জমে যাবে। প্রশাসনকে সমস্যার কথা বলেছি। আশা করছি, প্রশাসন উপযুক্ত ব্যবস্থা নেবে।’’ বিধায়ক অসীম মাঝি বলেন, ‘‘জলাশয় ভরানোর মতো বেআইনি কাজ বরদাস্ত করার প্রশ্নই নেই। যে-ই করুক, ঠিক করেনি। সংশ্লিষ্ট দফতরের আধিকারিককে বলেছি ব্যবস্থা নিতে।’’ ব্লক ভূমি ও ভূমি সংস্কার আধিকারিক জয়ন্ত দত্ত বলেন, ‘‘বিষয়টি দেখা হচ্ছে। মঙ্গলবার দফতর থেকে সরেজমিন তদন্ত করা হয়েছে।’’