—ফাইল চিত্র।
হাওড়ার ডুমুরজলা ইন্ডোর স্টেডিয়ামের কাজ শেষ করার জন্য দেড় মাস সময় বেঁধে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু পণ্য-পরিষেবা কর (জিএসটি) চালু হওয়ার জন্য কাঁচা মালের অভাব কাজ শেষের ক্ষেত্রে অন্তরায় হয়ে দাঁড়িয়েছে। সোমবার স্টেডিয়ামের কাজ দেখতে এসে এমনই অভিযোগ করলেন ক্রীড়া ও যুবকল্যাণ মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। তিনি জানান, গোটা স্টেডিয়ামের ভোল বদলে কলকাতার নেতাজি ইন্ডোরের বিকল্প হিসেবে এটিকে তৈরি করার পরিকল্পনা হয়েছে, যাতে সব রকমের আন্তর্জাতিক মানের খেলা এখানে করা যায়।
ডুমুরজলা ইন্ডোর স্টেডিয়াম ও ডুমুরজলা স্টেডিয়ামের সৌন্দর্যায়নের কাজ দ্রুত শেষ করার জন্য গত সপ্তাহেই হাওড়ার মেয়র রথীন চক্রবর্তীকে নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি তিনি স্টেডিয়ামের আসন সংখ্যা বাড়িয়ে আন্তর্জাতিক মানের স্টেডিয়াম করারও নির্দেশ দেন। এর পরেই নড়ে বসে হাওড়া পুর প্রশাসন। দফায় দফায় সিটি পুলিশের আধিকারিক ও স্টেডিয়াম নির্মাণকারী ঠিকাদার সংস্থাগুলির বৈঠকে বসেন মেয়র। কাজের গতিও বাড়ে।
এ দিন কাজের অগ্রগতি দেখতে ক্রীড়ামন্ত্রী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ক্রীড়া ও যুবকল্যাণ দফতরের প্রতিমন্ত্রী লক্ষীরতন শুক্ল, মেয়র, মেয়র পারিষদ-সহ হাওড়া সিটি পুলিশের পদস্থ কর্তারা। স্টেডিয়াম পরিদর্শনের পরে হেলিপ্যাড গ্রাউন্ডের অফিসে পুরসভার পক্ষ থেকে স্টেডিয়ামের ভিতর ও আশপাশের সৌন্দর্যায়ন কেমন হবে, তার একটি ভিডিও দেখানো হয়।
পরে অরূপবাবু বলেন, ‘‘স্টেডিয়ামের কাজের জন্য বেশ কিছু জিনিস কিনতে হবে। যেমন সিলিংয়ের জন্য কিছু জিনিস, মেঝের জন্য টাইল্স ইত্যাদি। কিন্তু জিএসটি-র জন্য দাম নিত্য দিন ওঠা-নামা করায় ব্যবসায়ীরা বাইরে থেকে মালপত্র আনতে পারছেন না। কোনও কোনও ক্ষেত্রে জিনিস কিনতেও বেশি টাকা লাগছে। ফলে কাজ এগোতে সমস্যা হচ্ছে।’’ মন্ত্রী জানান, স্টেডিয়ামে আগে ৩ হাজার আসন ছিল। বর্তমান পরিকল্পনা মতো সেই সংখ্যা দ্বিগুণ হচ্ছে। রাজ্য ক্রীড়া দফতর সূত্রে খবর, আগে স্টেডিয়ামের উন্নয়নে হাওড়া পুরসভাকে ৪ কোটি টাকা দিয়েছিল রাজ্য সরকার। এ দিন আরও ৫ কোটি টাকা তার জন্য বরাদ্দ হয়।
মেয়র রথীন চক্রবর্তী বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রীর দেওয়া সময়সীমা অনুযায়ী কাজ শেষ করার চেষ্টা করছি। এ ব্যাপারে ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব ইঞ্জিনিয়ারিং, সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি (আইআইইএসটি)-র বিশেষজ্ঞদের সাহায্য নেওয়া হয়েছে। তাঁরা দিন ধরে কাজের গতি ঠিক করে দিয়েছেন। সে ভাবে চললে ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে কাজ শেষ হওয়ার কথা। আমরা সেই চেষ্টাই করছি।’’