ফাইল চিত্র।
নির্দেশ এসেছিল। কিন্তু তার পরেও নিয়মের গেরোয় ফের আটকে গিয়েছে হাওড়া পুরসভার ৪১৯ জন অস্থায়ী কর্মীর পুনর্নিয়োগ প্রক্রিয়া। ফলে খানিকটা আশার আলো দেখেও আবার অথৈ জলে পড়েছেন তাঁরা।
পুরসভা সূত্রের খবর, গত অক্টোবর মাসে বসিয়ে দেওয়া হয়েছিল ৪১৯ জনকে। এর পরে ৩০ ডিসেম্বর হাওড়ার পুর কমিশনারকে চিঠি লিখে রাজ্য পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরের যুগ্মসচিব জানান, মশাবাহিত রোগ ও কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় নজরদারির জন্য একটি প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। সেটি অর্থ দফতরের অনুমোদনও পেয়ে গিয়েছে। ওই প্রকল্পে ৪১৯ জনকে চুক্তির ভিত্তিতে ছ’মাসের জন্য নিয়োগ করা হবে। কিন্তু বসিয়ে দেওয়া ৪১৯ জনকেই ওই প্রকল্পে নেওয়া হবে না কি পরীক্ষা নিয়ে কর্মী নিয়োগ করা হবে, তা নির্দিষ্ট করে বলা হয়নি চিঠিতে। যার জন্য থমকে গিয়েছে পুনর্নিয়োগ প্রক্রিয়াই।
এক পুর আধিকারিক বলেন, ‘‘ওই চিঠিতে কোথাও লেখা নেই, পুরসভার বসিয়ে দেওয়া ৪১৯ জনকেই ওই প্রকল্পে নিতে হবে। তাই চাকরির নির্দিষ্ট প্রক্রিয়া মেনেই নিয়োগ করতে হবে। এ জন্য একটি বেসরকারি সংস্থা পরীক্ষা নেবে। তার পরে নিয়োগ হবে।’’
প্রসঙ্গত, পুরসভার আর্থিক দুরবস্থার যুক্তি দেখিয়ে প্রায় ১০ মাস বেতন না দিয়ে গত অক্টোবরে বসিয়ে দেওয়া হয় ৪১৯ জন অস্থায়ী কর্মীকে। ঠিক তার পরের মাসে যখন ডেঙ্গি ভয়াবহ আকার নিয়েছে হাওড়ায়, তখন আচমকা পুরসভায় এসে পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম ঘোষণা করেন, ওই ৪১৯ জনকে পুনর্নিয়োগ করা হল। একটি প্রকল্প তৈরি করে তাঁদের সেখানে কাজে লাগানো হবে।
এই ঘোষণার পরে পুর কমিশনার বিজিন কৃষ্ণ মশাবাহিত রোগ ও কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে নজরদারি বাড়ানোর জন্য কর্মী নিয়োগের প্রকল্প তৈরি করে পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরে পাঠান। দু’মাস পরে প্রকল্পে অনুমোদন দেয় অর্থ দফতর। এর পরেই পুর কমিশনারকে চিঠি দিয়ে পুর ও নগরোন্নয়ন দফতর ৪১৯ জন কর্মীকে নিয়োগ করার নির্দেশ দেয়। চিঠিতে আরও বলা হয়, ওই দু’টি ক্ষেত্রে উন্নতির জন্য সরকারি বিভিন্ন বাজেট বরাদ্দ থেকে কর্মীদের বেতনের জন্য টাকা দেওয়া হবে। যদি কোনও ঘাটতি হয়, বাকিটা জোগান দেবে স্টেট আর্বান ডেভেলপমেন্ট এজেন্সি (সুডা)।
হাওড়ার পুর কর্তাদের একাংশের বক্তব্য, যে ৪১৯ জনের পুনর্নিয়োগ নিয়ে এত সমস্যা, চিঠিতে তাঁদের নিয়োগের ব্যাপারে উল্লেখ করা হয়নি। যদিও পুরসভার এক কর্তা বলেন, ‘‘সমস্যা মিটে যাবে। একটু সময় লাগছে।’’