Rail Blockade

এ বার চুঁচুড়ায় রেল অবরোধ

বিশেষ লোকালে উঠতে দেওয়ার দাবিতে রবিবার সকাল থেকে পান্ডুয়া, খন্যান, বৈঁচী এবং হুগলি স্টেশনে দফায় দফায় অবরোধ করেছিলেন সাধারণ যাত্রীরা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

চুঁচুড়া শেষ আপডেট: ১৩ অক্টোবর ২০২০ ০৪:২৮
Share:

ক্ষোভ: নিত্যযাত্রীদের রেল অবরোধ চুঁচুড়ায়। ছবি: তাপস ঘোষ

২৪ ঘণ্টার মধ্যে সোমবার সকালে ফের রেল অবরোধ হল হুগলিতে। রেলকর্মীদের বিশেষ ট্রেনে উঠতে দেওয়ার দাবিতে এ বার চুঁচুড়া স্টেশনে প্রায় আড়াই ঘণ্টা অবরোধ করলেন নিত্যযাত্রীরা। রেলপুলিশ এবং চন্দননগর কমিশনারেটের পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

Advertisement

বিশেষ লোকালে উঠতে দেওয়ার দাবিতে রবিবার সকাল থেকে পান্ডুয়া, খন্যান, বৈঁচী এবং হুগলি স্টেশনে দফায় দফায় অবরোধ করেছিলেন সাধারণ যাত্রীরা। পূর্ব রেলের কর্তারা এবং রেলপুলিশ ও আরপিএফ অবরোধকারীদের সঙ্গে কথা বলে তাঁদের ক্ষোভ প্রশমিত করেন।

সোমবার সকালে ওই চার স্টেশনে আর কোনও গোলমাল হয়নি। নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা না-হলেও নিত্যযাত্রীদের অনেকেই বর্ধমান থেকে ছাড়া সকালের বিশেষ ট্রেনটিতে উঠে পড়েন। অনেকেই নিজেদের উদ্যোগে ওই ট্রেনে চড়ার আবেদনপত্র তৈরি করে সঙ্গে নিয়ে উঠেছিলেন। ট্রেনটি চন্দননগর স্টেশনে এলে টিকিট পরীক্ষক এবং রেলপুলিশ নিত্যযাত্রীদের নামিয়ে দেয় বলে অভিযোগ। লিলুয়াতেও কয়েকজনকে নামিয়ে দেওয়া হয়। রেল পুলিশ মারধর করেছে, এই অভিযোগ তোলেন কেউ কেউ। রেলপুলিশ অভিযোগ মানেনি। চন্দননগরে নামা যাত্রীরা রেললাইন ধরে চুঁচুড়া স্টেশনে আসেন। সেখানে অপেক্ষারত অন্য যাত্রীরা ঘটনার কথা শুনেই লাইনে বসে পড়ে অবরোধ শুরু করেন। লাইনে লোহার পাত ফেলা হয়।

Advertisement

তখন সকাল সাতটা। আর একটি বিশেষ ট্রেন চুঁচুড়া স্টেশনে এসে অবরোধে আটকে পড়ে। অবরোধকারীদের দাবি, রবিবারের ঘটনায় রেলকর্তারা এবং রেলপুলিশ আর ওই ট্রেনে উঠলে হয়রান করা হবে না বলে আশ্বাস দিয়েছিলেন। তা মানা হয়নি বলে তাঁদের অভিযোগ। সাড়ে ৯টা নাগাদ অবরোধ ওঠে।

পূর্ব রেল সূত্রে রবিবারেই জানানো হয়েছিল, রাজ্য সরকারের কাছে লোকাল ট্রেন চালানোর অনুমতি চেয়ে গত মাসেই আবেদন করা হয়েছে। কী ভাবে ট্রেন চালানো হবে তা রাজ্য সরকারের পরামর্শক্রমে স্থির হওয়ার কথা। এখনও রাজ্য সরকার এ নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নেয়নি বা রেলকে কিছু জানায়নি। ফলে, একক ভাবে রেলের পক্ষ থেকে

নিজস্ব কর্মীদের যাতায়াতের জন্য নির্দিষ্ট ট্রেন সাধারণের জন্য খুলে দেওয়া সম্ভব নয়।

লোকাল ট্রেন বন্ধ থাকায় যাঁরা ছোটখাটো কাজ বা দিনমজুরি করে সংসার চালান, তাঁরাই বেশি বিপাকে পড়েছেন। দিকে দিকে লোকাল ট্রেন চালানোর দাবি জোরালো হচ্ছে। দিন কয়েক আগে ওই দাবিতে নিত্যযাত্রীদের সংগঠন ‘তারকেশ্বর লাইন প্যাসেঞ্জার্স অ্যাসোসিয়েশন’ চিঠি পাঠিয়েছে পূর্ব রেলের জেনারেল ম্যানেজারের কাছে। প্রতিলিপি পাঠানো হয়েছে হাওড়ার ডিআরএম এবং ডিভিশনাল কমার্সিয়াল ম্যানেজারকেও।

দুর্গাপুজোর মুখে বিভিন্ন এলাকার ব্যবসায়ীদের একাংশও লোকাল ট্রেনের দিকে মুখিয়ে আছেন। শ্রীরামপুর হুগলির অন্যতম প্রধান বাজার। ব্যবসায়ীদের অনেকে জানান, গ্রামীণ এলাকা থেকে বহু মানুষ ট্রেনে চেপে এখানে কেনাকাটা করতে আসেন। কিন্তু ট্রেন বন্ধ থাকায় তাঁদের পক্ষে আসা সম্ভব হচ্ছে না। ব্যবসাও মার খাচ্ছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement