—ফাইল চিত্র।
দিন কয়েক আগেই খোলা বাজারে ৪৫-৫০ টাকা কেজি দরে আলু কিনতে বাধ্য হয়েছেন সাধারণ মানুষ। তখনই প্রশ্ন উঠেছিল, দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে সরকারি আলু কেন ছাড়া হচ্ছে না? বর্তমানে আলুর দাম কিছুটা নেমেছে। এই আবহে আজ, বৃহস্পতিবার সিঙ্গুরের তাপসী মালিক কৃষক বাজারে মোট ১৩০০ প্যাকেট (৫০ কেজিতে এক প্যাকেট) সরকারি আলু নিলামে বিক্রি হতে চলেছে। সর্বনিম্ন সরকারি মূল্য ধার্য হয়েছে ১২ টাকা কেজি।
অনেকেই মনে করছেন, যথাসময়ে হিমঘর থেকে বের করা হলে সরকারি আলুর এই ‘অভাবী বিক্রি’ করতে হত না। মানুষও কম দামে আলু পেতেন। এর পিছনে সরকারি সিদ্ধান্তহীনতাকে দায়ী করছেন বিরোধীরা।
আলু ব্যবসায়ী সংগঠনের রাজ্য সম্পাদক লালু মুখোপাধ্যায় অবশ্য বলেন, ‘‘এই আলু সম্ভবত আগেই হিমঘরগুলি থেকে বার করা হয়েছিল। সেই কারণে নিলাম হচ্ছে। না হলে আলুর মান খারাপ হয়ে যাবে।’’ কৃষি বিপণন দফতরের এক পদস্থ কর্তা বলেন, ‘‘আপাতত যে পরিমাণ আলু হিমঘরের বাইরে ছিল, তা নিলাম করা হচ্ছে। পরবর্তী পর্যায়ে পরিস্থিতি অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’’
সরকারি বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, আজ সিঙ্গুরে মোট ১৩০০ প্যাকেট সরকারি আলু এক লপ্তে নিলাম হবে। নিলামে অংশগ্রহণে আগ্রহীদের ১০০০ টাকা জমা করতে বলা হয়েছে সরকারি আধিকারিকদের কাছে। যিনি সর্বোচ্চ দাম দেবেন, তিনিই ওই আলু পাবেন।
বাজারের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে এ বার হিমঘরে আলু রাখার সময়সীমা (৩০ নভেম্বর) বেঁধে দিয়েছিল সরকার। তারপরেও রাজ্যের বহু হিমঘরে আলু থেকে গিয়েছে। তার মধ্যে সরকারি আলুও রয়েছে। প্রশ্ন উঠেছিল, নিজের বিধিনিষেধ সরকার নিজে কতটা মানছে? তা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর কৃষি উপদেষ্টা প্রদীপ মজুমদার দাবি করেছিলেন, সরকারি আলু সঠিক সময়ে বের করা হয়েছিল বলেই বাজারে আলুর দাম কমেছে।
বেশ কিছু হিমঘর-মালিক এবং ব্যবসায়ী সে সময় প্রদীপবাবুর ওই দাবি মানেননি। তাই এ বার সরকারি আলুর নিলামের সময় নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। সিঙ্গুরের বিজেপি নেতা সঞ্জয় পাণ্ডে বলেন, ‘‘মাত্র কয়েকদিন আগে সরকারি আলু হিমঘর থেকে বের করলে সাধারণ মানুষকে চড়া দামে কিনে খেতে হত না। বাজারে জোগানের ঘাটতিও রুখে দেওয়া যেত। কিন্তু সরকারি আমলারা সে পথে না হেঁটে মজুতদারদের তখন সুবিধা করে দিলেন। আর এখন জলের দরে বিক্রি হচ্ছে।’’ সিপিএমের জেলা সম্পাদক দেবব্রত ঘোষেরও প্রশ্ন, ‘‘এই সরকারি উদ্যোগ দিন কয়েক আগে কেন নেওয়া গেল না?