বিক্ষোভে কালো পতাকা দেখানো হচ্ছে। —নিজস্ব চিত্র
সংশোধিত কৃষি আইন নিয়ে বঙ্গ-রাজনীতিতে তরজা অব্যাহত। এই আইনের সমর্থনে মিছিল করতে গিয়ে সোমবার সিঙ্গুরে বিক্ষোভের মুখে পড়লেন স্থানীয় বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। কালো পতাকা দেখানো হল তাঁকে। উঠল ‘গো ব্যাক’ স্লোগান। সেই সিঙ্গুর, গত বছর লোকসভা নির্বাচনে যে বিধানসভা কেন্দ্র থেকে লকেট প্রায় সাড়ে দশ হাজার ভোটে জিতেছিলেন।
বিজেপির দাবি, তৃণমূলের লোকজনই বিক্ষোভ দেখিয়েছেন। এটা রাজনৈতিক অসৌজন্য। তৃণমূল এ কথা মানেনি। তাদের পাল্টা দাবি, কেন্দ্রীয় সরকার ‘কালা আইন’ প্রণয়ন করার ফলে জনমানসে যে প্রতিক্রিয়া হয়েছে, বিজেপির নেতারা তা টের পাচ্ছেন। সাধারণ চাষিরা ওই বিক্ষোভ দেখিয়েছেন, তৃণমূল নয়। সব মিলিয়ে, এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনীতির আঙিনা সরগরম।
এ দিন বিকেলে দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ে লাগোয়া সানাপাড়া থেকে সিঙ্গুর বাজার সংলগ্ন দুলেপাড়া মোড় পর্যন্ত মিছিল করে বিজেপি। লকেট ছাড়াও শামিল হন দলের পুরুলিয়ার সাংসদ জ্যোতির্ময় সিংহ মাহাতো, দলের জেলা নেতা গৌতম ভট্টাচার্য, শ্যামল বসু প্রমুখ। মিছিল কিছু দূর এগোনোর পরে সাউপাড়ার কাছে বেশ কিছু মহিলা-পুরুষ লকেটকে কালো পতাকা দেখান। কৃষি আইনের প্রতিবাদে পোস্টারও ছিল তাঁদের হাতে। জমায়েত থেকে স্লোগান ওঠে। বিক্ষোভকারীদের থামানোর চেষ্টা করে পুলিশ। মিছিল বেরিয়ে যায়।
ঘটনায় ক্ষুব্ধ লকেট বলেন, ‘‘নতুন আইনে কৃষক লাভের মুখ দেখবেন। তৃণমূলের কালোবাজারিদের টাকা শেষ হয়ে যাবে। লক্ষ লক্ষ কৃষকের টাকা ওরা আত্মসাত করতে পারবে না। তাই মানুষকে ভুল বুঝিয়ে বিক্ষোভ করছে। কালো পতাকা ওরাই দেখিয়েছে। কৃষকেরা লড়াই করে ওদের উচিত শিক্ষা দেবে।’’
তৃণমূলের সিঙ্গুর ব্লক সভাপতি মহাদেব দাস পালটা বলেন, ‘‘নয়া আইন চাষিদের গায়ে দগদগে ঘা। তাতে বিজেপি সাংসদ নুন ছেটাতে এসেছিলেন। তাই চাষিরা স্বতঃস্ফূর্ত বিক্ষোভ দেখিয়েছেন। ওখানে সব দলের লোকই ছিলেন। বিজেপিকে ভোট দিয়েছেন, এমন চাষিও ছিলেন। ওটা আমাদের কোনও কর্মসূচি ছিল না।’’