সমস্যা: টিকিট কাটার ভিড়। নিজস্ব চিত্র
রাতভর বৃষ্টির জেরে বিদ্যুৎ পরিষেবা বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছিল আরামবাগ রেল স্টেশন চত্বরে। তার জেরে শনিবার ভোর থেকে প্রায় ঘন্টা চারেক ভোগান্তিতে পড়লেন নিত্যযাত্রীরা।
শনিবার ভোর থেকে প্রায় সাড়ে ৪ ঘন্টা যাত্রীরা টিকিটও কাটতে পারেননি। লম্বা লাইনে হাতে টিকিট দেওয়ার ব্যবস্থায় ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রীরা। যাত্রীদের ক্ষোভ-বিক্ষোভে ভোর ৪টা ৫০ থেকে তিনটি হাওড়াগামী ট্রেন প্রায় ১ ঘন্টা দেরিতে ছাড়তে হয়। যাত্রীদের টিকিট কাটা শেষ হলে তবেই ট্রেন ছাড়া হয়েছে। সকাল ৮ থেকে অবশ্য বিদ্যুৎ সংযোগ এলে পরিষেবা স্বাভাবিক হয়।
পূর্ব রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রবল বৃষ্টির সঙ্গে ঘন ঘন বজ্রপাতের জেরে শুক্রবার রাত ১টা থেকে আরামবাগ স্টেশন চত্বর বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়। ভোরেই খবর দেওয়া হয় দফতরে। এ দিন আরামবাগ থেকে ছাড়া ভোর ৪টা ৫০ মিনিটের ট্রেনে ভিড় বেশি না থাকলেও সকাল ৬টা ১৮ মিনিটের ট্রেনে ভিড় ছিল ব্যাপক। হাতে টিকিট দেওয়ায় বিরাট লাইনে থাকা যাত্রীরা বিকল্প চটজলদি ব্যবস্থাপনা নিয়ে স্টেশন ম্যানেজারের কাছে বিক্ষোভ দেখান। স্টেশন ম্যানেজার সব যাত্রীকে নিয়েই ট্রেন ছাড়ার কথা বললে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
গোঘাট থেকে ছাড়া পরের সাড়ে ৭টির ট্রেনটি যাত্রীরা অবশ্য কিছুটা কম সমস্যায় পড়েন।
নিত্যযাত্রী আশিস দেবনাথের অভিযোগ, “প্রাকৃতিক বিপর্যয় ঘটতেই পারে। কিন্তু পূর্ব রেল কর্তৃপক্ষ আগাম বিকল্প ব্যবস্থা নিয়ে কিছু ভাবেনি। সেখানেই ক্ষোভ আমাদের। বিদ্যুৎ সংযোগ না থাকায় টিকিট যন্ত্র কাজ করবে না আমরা সবাই জানি। কিন্তু তার পরিবর্তে ম্যানুয়ালি টিকিট দেওয়ার ক্ষেত্রেও এমন অনিয়ম কেন? খালি তারকেশ্বর, লিলুয়া আর হাওড়ার টিকিট দেওয়া হয়েছে।’’
আরামবাগ স্টেশনের দায়িত্বপ্রাপ্ত স্টেশন ম্যানেজার সতীশ কুমার সিনহা বলেন, “সকাল ৮ টা থেকে পরিষেবা স্বাভাবিক। লিলুয়া থেকে বিশেষজ্ঞরা এসে লাইন পরীক্ষা করছেন।”