পুরশুড়ায় ফের রাজনৈতিক হানাহানি, জখম ৩ 

আহত পিন্টু কোটাল, প্রকাশ কোটাল এবং শেখ হাফিজুলকে আরামবাগ মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। পিন্টু স্থানীয় শ্রীরামপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

পুরশুড়া শেষ আপডেট: ০৫ ডিসেম্বর ২০১৯ ০১:৫২
Share:

চিকিৎসাধীন: হাসপাতালে তিন তৃণমূল কর্মী। ছবি: সঞ্জীব ঘোষ

রাজনৈতিক অশান্তি অব্যাহত আরামবাগ মহকুমায়। মঙ্গলবার রাতে পুরশুড়ার সোদপুর বাজারে তৃণমূলের দুই নেতা-সহ তিন জনকে ব্যাপক মারধরের অভিযোগ উঠল বিজেপির বিরুদ্ধে। অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বিজেপি নেতৃত্ব।

Advertisement

আহত পিন্টু কোটাল, প্রকাশ কোটাল এবং শেখ হাফিজুলকে আরামবাগ মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। পিন্টু স্থানীয় শ্রীরামপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য। পিন্টুর দাদা প্রকাশ ব্লক স্তরের তৃণমূল নেতা এবং হাফিজুল ১০০ দিন কাজ প্রকল্পের সুপারভাইজার তথা ওই দলেরই বুথ স্তরের নেতা।

আহতদের পক্ষ থেকে থানায় বিজেপি কর্মী শেখ কুদ্দুস, নন্দ সাঁতরা, শেখ লালবাবু এবং শেখ আবদুর রহমান ওরফে সন্টুর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। অভিযুক্তদের বাড়ি কাছেই সমসপুর গ্রামে। পুলিশ জানায়, তদন্ত শুরু হয়েছে। অভিযুক্তরা পলাতক। তৃণমূলের দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্তেরা আগে দলের সক্রিয় কর্মী ছিল। লোকসভা ভোট-পর্বের শুরুতে তারা বিজেপিতে যোগ দেয়। অভিযোগ উড়িয়ে পুরশুড়ার ৩১ নম্বর জেলা পরিষদ মণ্ডলের বিজেপি সভাপতি হরপ্রসাদ বাগের দাবি, “ওই হামলার সঙ্গে দলের যোগ নেই। উপনির্বাচনে জেতার পর থেকে সমসপুরে টানা হামলা চালাচ্ছে তৃণমূল। পুলিশে অভিযোগ করেও সুরাহা না পাওয়ায় সাধারণ মানুষই মরিয়া হয়ে প্রতিরোধের চেষ্টা করেছেন। এটা জনরোষ।” এ কথা তৃণমূল মানেনি।

Advertisement

গত পঞ্চায়েত ভোটের সময় থেকে পুরশুড়ার শ্রীরামপুর-সহ ৮টি পঞ্চায়েতেই তৃণমূলের প্রার্থীপদ নিয়ে দলের অন্দরে লাগাতার সংঘর্ষ হচ্ছিল। লোকসভা ভোটের মুখে বিক্ষুব্ধ তৃণমূল কর্মী-সমর্থকেরা বিজেপিতে যোগ দেন। লোকসভা ভোটের পরে পুরশুড়ায় বিজেপি প্রভাব বিস্তার করে। রাজ্যে তিনটি উপ-নির্বাচনের ফল ঘোষণা পর থেকে আরামবাগ মহকুমায় রাজনৈতিক হানাহানি লেগেই রয়েছে।

প্রহৃত পিন্টুর অভিযোগ, ‘‘মঙ্গলবার রাত সাড়ে সাতটা নাগাদ আমাদের দোকান থেকে ২০০ ফুট তফাতে হাফিজুলকে বিজেপির জনা বারো ছেলে বাঁশ-লাঠি-শাবল দিয়ে মারছিল। তাঁর আর্তনাদ শুনে আমি ও দাদা গিয়ে প্রতিবাদ করি। ওরা পরে আমাদের দোকানে ঢুকে মারধর করেছে। প্রায় এক লক্ষ টাকাও ছিনিয়ে নিয়েছে।” প্রহৃত হাফিজুলের অভিযোগ, “ট্রাক্টর থেকে একজনের খামারে ধান নামানোর সময় বিনা প্ররোচনায় মারধর করেছে ওরা।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement