বিজেপি কর্মীদের উপরে ‘হামলা’ এবং তার জেরে দু’টি তৃণমূল কার্যালয়ে ভাঙচুরের ঘটনায় মঙ্গলবার থেকেই উত্তেজনা রয়েছে খানাকুলের কিশোরপুরে। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই উত্তপ্ত হল গোঘাটের পচাখালি এলাকা। অভিযোগ, সেখানে তৃণমূল কার্যালয় এবং সংলগ্ন এলাকায় টাঙানো শাসকদলের বেশ কিছু পতাকা খুলে ফেলে দেয় বিজেপি কর্মীরা। বিজেপি অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
মঙ্গলবার কিশোরপুর গ্রামে বিজেপির সদস্য সংগ্রহ অভিযান চলাকালীন দলের কর্মীদের উপরে হামলা হয়। বিজেপির অভিযোগ, তৃণমূলের মোটর সাইকেল বাহিনী হামলা চালায়। তাতে বিজেপির স্থানীয় মণ্ডল সহ-সভাপতি সৌম্য জানা সহ দু’জন আহত হন। তাঁদের আরামবাগ মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। বিজেপির তরফে ১৭ জনের নামে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। ওই ঘটনার কিছুক্ষণ পরে কিশোরপুরে তৃণমূলের দু’টি কার্যালয়ে চড়াও হয়ে ভাঙচুরের চালানোর অভিযোগ ওঠে বিজেপির বিরুদ্ধে। তৃণমূলও পুলিশের কাছে ১০ জনের নামে অভিযোগ দায়ের করে। এ দিনও কিশোরপুরে টহল দিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে, তৃণমূলের অভিযোগের ভিত্তিতে চার জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বিজেপি যাদের নামে অভিযোগ করেছে, তাদের খোঁজ চলছে। ধৃত বিজেপি কর্মীরা হল রিন্টু পাল, কিঙ্কর পোড়ে, সুভাষ সামন্ত এবং গণেশ দিগের। বুধবার আরামবাগ আদালতে তোলা হলে তাদের ১৪ দিন জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন বিচারক।
এ দিন তৃণমূল অভিযোগ করে, গোঘাটের পচাখালিতে দলের কার্যালয় এবং ওই এলাকা থেকে দলের পতাকা খুলে ফেলে দিয়েছে বিজেপি। ঘটনায় ওই এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়।
গোঘাটের তৃণমূল নেতা তথা গোঘাট ১ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মনোরঞ্জন পালের অভিযোগ, “রাতের অন্ধকারে এই নোংরা কাজ করেছে বিজেপি। বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছি।”
অন্য দিকে, বিজেপির আরামবাগ সাংগঠনিক জেলা সভাপতি বিমান ঘোষের অভিযোগ, “তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে অশান্তি হচ্ছে। তাতে আমাদের ছেলেদের জড়িয়ে নোংরা রাজনীতি করছে তৃণমূল। এ সব করে ঘুরে দাঁড়াবার চেষ্টা করছে তৃমমূল। কিন্তু তার কোনও রাস্তা নেই।”
গত লোকসভা ভোটের পরে একাধিক বার রাজনৈতিক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে আরামবাগ মহকুমায়।