সহকর্মীকে গুলি করে ধৃত পুলিশ

বচসা চলাকালীন শক্রঘ্ন নিজের সার্ভিস রিভলবার থেকে বিধানবাবুকে লক্ষ্য করে গুলি করে বলে অভিযোগ। গুলিটি বিধানবাবুর বাঁ কাঁধ ফুটো করে গাড়ির কাঁচ ভেদ করে বেরিয়ে যায়। ঘটনাস্থলে উপস্থিত অন্যান্য পুলিশ কর্মীরা শক্রঘ্নকে ধরে ফেলেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ডানকুনি শেষ আপডেট: ১৩ জুলাই ২০১৭ ০০:৫৬
Share:

ধৃত: আদালতের পথে অভিযুক্ত শত্রঘ্ন সিংহ। নিজস্ব চিত্র

এক পুলিশ কর্মীকে গুলি চালানোর অভিযোগে অন্য এক পুলিশ কর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার রাতে ঘটনাটি ঘটে হুগলির ডানকুনির মাইতিপাড়ায়।

Advertisement

পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতের নাম শক্রঘ্ন সিংহ। আহত পুলিশ কর্মীর নাম বিধান চক্রবর্তী। তাঁর বাড়ি বীরভূমের মণ্ডল পাড়ায়। ধৃতকে বুধবার শ্রীরামপুর আদালতে তোলা হলে বিচারক তাকে তিন দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় হুগলি জেলা পরিষদের সভাধিপতি মেহেবুব রহমানের পাইলট গাড়ি তাঁর জন্য মাইতিপাড়ায় অপেক্ষা করছিল। সেই গাড়িতে ছিলেন বিধান চক্রবর্তী শক্রঘ্ন সিংহ-সহ ৬ জন পুলিশ কর্মী। অভিযোগ, পাইলট গাড়িটি দাঁড়িয়ে থাকার সময়ে শক্রঘ্ন মাইতিপাড়ার এলাকারই একটি ধাবায় খেতে যায়। সেখান থেকে ফিরে সে গাড়িতে উঠতে গেলে বিধানবাবু বাধা দিয়ে দাবি করেন, শক্রঘ্ন মদ খেয়ে এসেছে। সেই নিয়ে দু’জনের মধ্যে বচসা শুরু হয়।

Advertisement

বচসা চলাকালীন শক্রঘ্ন নিজের সার্ভিস রিভলবার থেকে বিধানবাবুকে লক্ষ্য করে গুলি করে বলে অভিযোগ। গুলিটি বিধানবাবুর বাঁ কাঁধ ফুটো করে গাড়ির কাঁচ ভেদ করে বেরিয়ে যায়। ঘটনাস্থলে উপস্থিত অন্যান্য পুলিশ কর্মীরা শক্রঘ্নকে ধরে ফেলেন। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় বিধানবাবুকে স্থানীয় নার্সিংহোমে নিয়ে যাওয়া হয়। পাইলট গাড়িতে উপস্থিত অন্যান্য পুলিশ কর্মীদের দাবি, অভিযুক্তের বিরুদ্ধে আগেও বহুবার কর্তব্যরত অবস্থায় মদ খাওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেটের এক কর্তা জানান, নির্দিষ্ট ধারায় মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু হয়েছে। হুগলি জেলা পরিষদের সভাধিপতি মেহেবুব রহমান বলেন, ‘‘বিষয়টি নিয়ে পুলিশ তদন্ত শুরু করছে। মঙ্গলবার কলকাতায় পঞ্চায়েত দফতরের বৈঠকে গিয়েছিলাম। সেখান থেকে ফেরার পথে বিষয়টি জানতে পারি।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement