কাউন্সেলিংয়ের জন্য হাওড়ার জগৎবল্লভপুরের নির্যাতিতা নাবালিকাকে নিজেদের হেফাজতে নিল চাইল্ড ওয়েলফেয়ার কমিটি (সিডব্লুসি)। তদন্তের প্রয়োজনে তাঁদের সুপারিশমতোই শুক্রবার দুপুরে পার্বতীপুর গ্রামের বাড়ি থেকে সিডব্লুসি ওই নাবালিকাকে নিজেদের হেফাজতে নেয় বলে জানিয়েছেন জেলা পুলিশের এক কর্তা।
বছর বারোর ওই নাবালিকা মার্চ মাসের গোড়ায় একটি কন্যাসন্তানের জন্ম দেয়। পরিবারের পক্ষ থেকে নাবালিকার ক্যারাটে প্রশিক্ষক নুপূর কর্মকারের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের হওয়ায় পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করে। তাঁর ডিএনএ পরীক্ষা করানো হয়। পুলিশ জানায়, সেই পরীক্ষার রিপোর্ট বলছে, নুপূরবাবু নাবালিকার সন্তানের বাবা নন। এর পরে একই অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় নাবালিকার এক নিকটাত্মীয়কেও। তাঁরও ডিএনএ পরীক্ষা করাতে উদ্যোগী হয়েছে পুলিশ।
কিন্তু তার আগে ওই নাবালিকাকে কেন সিডব্লুসি-র হাতে তুলে দেওয়া হল?
জেলা পুলিশের এক কর্তার দাবি, তদন্তের প্রয়োজনে। কারণ, ওই নাবালিকা নানা বিভ্রান্তিকর কথা বলছে। তার অভিযোগের ভিত্তিতেই নুপূরবাবুকে ধরা হয়েছিল। অথচ, ডিএনএ পরীক্ষায় দেখা যাচ্ছে নুপূরবাবু নির্দোষ। এতদিন ওই নাবালিকা পরিবারের সঙ্গে থাকায় কেউ তাকে বিভ্রান্তিকর কথা বলতে বাধ্য করছেন কিনা, তা বোঝা যাচ্ছিল না। সিডব্লিউসি-র হেফাজতে থাকলে নাবালিকা বাইরের কারও দ্বারা প্রভাবিত হবে না। কাউন্সেলিং করিয়ে নাবালিকার কাছ থেকে প্রকৃত তথ্য জানার পরেই তাকে বাড়িতে ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য সিডব্লিউসি-র কাছে সুপারিশ করা হবে। কাউন্সেলিংয়ে যেমন মহিলা পুলিশ থাকবেন, রাখা হবে শিশু বিশেষজ্ঞ এবং মনোবিদকেও। থাকবেন সিডব্লিউসি-র সদস্যেরাও।
এ দিকে, ডিএনএ পরীক্ষায় রেহাই পেলেও এখনও জামিন মেলেনি নুপূরবাবুর। এখনও তিনি জেল-হাজতে রয়েছেন। আগামী ৫ জুন মামলাটির হাওড়া আদালতে ওঠার কথা। সে দিনই তাঁর জামিনের আবেদন জানানো হবে বলে নুপূরবাবুর আইনজীবীরা জানিয়েছেন।