আদালতে তোলা হচ্ছে ধৃতকে।
ধনেখালিতে তৃণমূল নেতা খুনের অভিযোগ ধৃত চিত্তরঞ্জন সাঁতরাকে আট দিন পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিল আদালত।
শুক্রবার রাতে মগরার পশ্চিম শেখপাড়া থেকে তৃণমূল নেতা চিত্তরঞ্জনকে গ্রেফতার করা হয়। ধৃতকে শনিবার চুঁচুড়া আদালতে হাজির করানো হয়। এ দিন আর কোনও অভিযুক্তকে পুলিশ ধরতে পারেনি। পুলিশ জানিয়েছে, বাকি অভিযুক্তদের খোঁজ চলছে।
বুধবার দুপুরে ব্লক অফিস থেকে ফেরার পথে আক্রান্ত হন ধনেখালির গোপীনাথপুর-২ পঞ্চায়েতের বিদায়ী উপপ্রধান মৃত্যুঞ্জয় বেরা। তিনি এ বারেরও জয়ী প্রার্থী। তাঁর হাত-পা ভেঙে দেওয়া হয়েছিল। কোপানোও হয়। শুক্রবার সকালে হাওড়ার একটি বেসরকারি হাসপাতালে তিনি মারা যান। খুনের অভিযোগ ওঠে দলের আর এক জয়ী প্রার্থী নিত্যানন্দ সাঁতরা ও তাঁর দাদা চিত্তরঞ্জন-সহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে। দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে এই খুন বলে মনে করছেন অনেক তৃণমূল নেতাকর্মী। হাওড়া জেলা হাসপাতালে ময়না-তদন্তের পরে ওই রাতেই দেহ আনা হয় পশ্চিম কালিকাপুরে মৃত্যুঞ্জয়ের বাড়িতে। সেখানে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী অসীমা পাত্র। গ্রামবাসীরা ঘটনায় জড়িত সকলকে গ্রেফতারের দাবি জানান।