Goghat

নেতা নিগ্রহে অভিযুক্তের স্বামী-ছেলে কর্মহীনই

নিগৃহীত তৃণমূল নেতা, দলের জেলা কমিটির সদস্য চঞ্চল রায় ওই পঞ্চায়েতের প্রধান মুনমুন রায়ের স্বামী।

Advertisement

পীযূষ নন্দী

গোঘাট শেষ আপডেট: ২৫ জুন ২০২০ ০৪:২১
Share:

অপেক্ষা: জবকার্ড হাতে রমা ও তাঁর পরিবার। ছবি: সঞ্জীব ঘোষ

১০০ দিনের কাজ প্রকল্পে চেয়েও কাজ পাননি তিনি। তাই কিছুদিন আগে এলাকার এক তৃণমূল নেতাকে জুতোপেটা করার অভিযোগ উঠেছিল গোঘাট-২ ব্লকের কুমারগঞ্জ পঞ্চায়েতের রয়ান গ্রামের রমা সরকারের বিরুদ্ধে। পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করে। পরের দিন জামিন পান। শেষ পর্যন্ত রমা কাজ পেয়েছেন। কিন্তু তাঁর পরিবারের বাকি দুই শ্রমিক— রমার স্বামী এবং ছেলের কাজের আবেদন পঞ্চায়েতে জমা নেওয়া হচ্ছে না বলে এ বার নতুন অভিযোগ উঠল। ব্লক প্রশাসনের কাছে পরিবারটি ওই অভিযোগ জমা দিয়েছে।

Advertisement

নিগৃহীত তৃণমূল নেতা, দলের জেলা কমিটির সদস্য চঞ্চল রায় ওই পঞ্চায়েতের প্রধান মুনমুন রায়ের স্বামী। তাঁর হয়ে এলাকায় ১০০ দিনের কাজ প্রকল্পটি স্বামীই দেখভাল করেন বলে আগে জানিয়েছিলেন মুনমুন। নতুন অভিযোগ নিয়ে মুনমুন বুধবার বলেন, “আমি কিছু জানি না। ওঁদের বিষয়টা স্বামী বলতে পারবেন।” এ দিন চঞ্চলকে একাধিকবার ফোন করেও কোনও উত্তর মেলেনি। গোঘাটের বিধায়ক মানস মজুমদার বলেন, “শ্রমিকদের কাজের বিষয়টি সহানুভূতির সঙ্গে দেখতে বলা হয়েছে প্রধানকে।”

বিডিও অভিজিৎ হালদার বলেন, “কাজের দাবি করা রয়ান গ্রামের জবকার্ড হোল্ডার পরিবারটিকে কাজ দেওয়া হয়েছে। পরিবারের যতজনের নাম থাকবে, তাঁরা সবাই আবেদন করলে পালা করে কাজ দেওয়া হবে। এরপর তিনি কাজ করবেন, কী করবেন না, সেটা তাঁর বিষয়।”

Advertisement

রমা মাটি কাটার কাজ পেয়েছিলেন। কিন্তু নিজের অক্ষমতার কথা জানিয়ে তিনি সেই কাজ নেননি। ফলে, পরিবারটি কর্মহীন হয়েই রয়েছে। মাসদুয়েক আগে ওই প্রকল্পের কাজে চঞ্চলের বিরুদ্ধে খবরদারির অভিযোগ তুলে প্রতিবাদ করেন রমার ছেলে দেবায়ন এবং তপন ঘোষ ও সক্তাসক্ত ঘোষ নামে আরও দুই শ্রমিক। তারপর থেকেই দেবায়নের পরিবারের তিন জন এবং ‘প্রতিবাদী’ দুই শ্রমিককে কাজ দেওয়া হচ্ছিল না বলে অভিযোগ। এ নিয়েই জানতে গিয়ে চলতি মাসের গোড়ায় বচসা এবং শেষে চঞ্চলকে নিগ্রহের অভিযোগ ওঠে রমার বিরুদ্ধে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement