বৃদ্ধের অপমৃত্যু, অনিচ্ছাকৃত খুনে অভিযুক্ত প্রধান

এক বৃদ্ধের মৃত্যকে ঘিরে অনিচ্ছাকৃত খুনের অভিযোগ উঠল পঞ্চায়েত প্রধান ও তাঁর ১৫ জন অনুগামীর বিরুদ্ধে। ঘটনাটি গোঘাটের নকুণ্ডা পঞ্চায়েতের কুলিয়া গ্রামের। মৃতের নাম দিলীপ ফৌজদার (৬৫)।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

গোঘাট শেষ আপডেট: ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ০২:১৭
Share:

এক বৃদ্ধের মৃত্যকে ঘিরে অনিচ্ছাকৃত খুনের অভিযোগ উঠল পঞ্চায়েত প্রধান ও তাঁর ১৫ জন অনুগামীর বিরুদ্ধে। ঘটনাটি গোঘাটের নকুণ্ডা পঞ্চায়েতের কুলিয়া গ্রামের। মৃতের নাম দিলীপ ফৌজদার (৬৫)। পুলিশ জানায়, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বার্ষিক পরিকল্পনা অনুযায়ী কুলিয়া গ্রামে ৫০০ ফুটের একটি ঢালাই রাস্তা নির্মাণের প্রক্রিয়া শুরু হয় দিন পনেরো আগে। সেই রাস্তার জন্য গ্রামের অনেককেই জায়গা দেওয়ার অনুরোধ করা হয় পঞ্চায়েত থেকে। কিন্তু দিলীপবাবু নিজের জায়গা দিতে অস্বীকার করেন। তিনি আদালতের দ্বারস্থ হন। ওই জায়গাটির উপর ১৪৪ ধারা জারি হয়। মৃতের স্ত্রী মীরাদেবীর অভিযোগ, ‘‘আমারা রাস্তার জন্য জায়গা ছাড়তে আপত্তি করি। কিন্তু প্রধান জোর করে ওই জায়গায় রাস্তা করার প্রক্রিয়া চালান। শুক্রবার দুপুর সাড়ে ১২টা নাগাদ আমাদের জায়গার উপর মাটি বোঝাই দু’টি ট্রাক্টর দেখে জানতে চাই, ১৪৪ ধারা জারি থাকা সত্ত্বেও কেন সেখানে ট্রাক্টর ঢুকেছে?’’ তাঁর দাবি, ‘‘এই নিয়ে স্বামীর সঙ্গে তাঁদের বচসা ও ধাক্কাধাক্কি হয়। হঠাৎ জনা পনেরো মিলে মার মার বলে স্বামীকে ঘিরে ধরলে তিনি দৌড়ে পালানোর সময় পড়ে যান। হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন।’’

Advertisement

শনিবার সকালে মৃতের ভাই শিশির প্রতিহার নকুণ্ডা পঞ্চায়েতের প্রধান তথা কুলিয়া গ্রামেরই বাসিন্দা শ্যামলী ঘোষ-সহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযুক্ত প্রধানের দাবি, ‘‘দিলীপবাবুদের ১০ হাত জায়গা পড়ছিল সেই নকশার মধ্যে। তিনি আপত্তি তোলার পর রাস্তার কাজই শুরু হয়নি। গত বর্ষায় একটি পুকুর পাড় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। ওই পাড় সংস্কারের জন্য দু’ট্রাক্টর মাটি গিয়েছিল। কারও সঙ্গে ধাক্কাধাক্কি বা বচসার প্রশ্নই নেই।’’ তিনি জানান, শুনেছি তিনি ট্রাক্টরের শব্দ শুনে বাড়ি থেকে বের হতে গিয়ে উঠোনেই পড়ে গিয়ে মারা গিয়েছেন।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement