লুঠ হওয়া ট্যাঙ্কার উদ্ধার, ধৃত ৫

দিন কয়েক আগে চালক-খালাসিকে আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে জাতীয় সড়ক থেকে ভোজ্য তেল বোঝাই একটি ট্যাঙ্কার লুঠ করার অভিযোগে পাঁচ দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করল পুলিশ। রবিবার রাতে কোনা এক্সপ্রেসওয়ে থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ট্যাঙ্কারটি। চুরি যাওয়া ভোজ্য তেলের ৯০ শতাংশই উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন হাওড়া গ্রামীণ জেলা পুলিশ সুপার সুকেশ জৈন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বাগনান শেষ আপডেট: ০৯ জুন ২০১৫ ০১:২৯
Share:

আদালতের পথে ধৃতেরা। ডান দিকে, উদ্ধার হওয়া ট্যাঙ্কার। —নিজস্ব চিত্র।

দিন কয়েক আগে চালক-খালাসিকে আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে জাতীয় সড়ক থেকে ভোজ্য তেল বোঝাই একটি ট্যাঙ্কার লুঠ করার অভিযোগে পাঁচ দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করল পুলিশ। রবিবার রাতে কোনা এক্সপ্রেসওয়ে থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ট্যাঙ্কারটি। চুরি যাওয়া ভোজ্য তেলের ৯০ শতাংশই উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন হাওড়া গ্রামীণ জেলা পুলিশ সুপার সুকেশ জৈন।

Advertisement

ধৃতদের নাম সইদুল ইসলাম ওরফে কালো, সেলিম সশখ, আব্দুল কালাম শেখ, রবিউল ইসলাম এবং পল্টু দাস। প্রথম তিন জন দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিষ্ণুপুর এলাকার বাসিন্দা। রবিউলের বাড়ি পূর্ব মেদিনীপুরের ভবানীপুরে। পল্টু বজবজের বাসিন্দা।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ৪ জুন রাতে হলদিয়ার একটি বেসরকারি সংস্থার উৎপাদিত প্রায় ১২ হাজার লিটার ভোজ্য তেল নিয়ে ট্যাঙ্কারটি রানিগঞ্জের উদ্দেশে রওনা হয়। মুম্বই রোড ধরে রাত ১২টা নাগাদ ট্যাঙ্কারটি রূপনারায়ণ নদের সেতু পার হয়ে আসে নাউপালায়। তখনই একটি ছোট গাড়ি ট্যাঙ্কারটির পথ আটকে দাঁড়ায়। গাড়ি থেকে নেমে আসে পাঁচ দুষ্কৃতী। চালকের কেবিনে উঠে পড়ে তারা। চালকের মাথায় আগ্নেয়াস্ত্র ঠেকিয়ে তাঁর এবং খালাসির হাত-পা বেঁধে ফেলে।

Advertisement

তদন্তে পুলিশ জেনেছে, রাতেই ট্যাঙ্কার চালিয়ে দুষ্কৃতীরা চলে যায় দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিষ্ণুপুরে। সেখানে একটি গোপন আস্তানায় ট্যাঙ্কার থেকে তেল নামিয়ে নেওয়া হয়। পরের দিন ভোরে ট্যাঙ্কারটিকে চালিয়ে এনে কোনা এক্সপ্রেসওয়েতে ফেলে রেখে তারা পালায়। গোঙানি শুনে স্থানীয় বাসিন্দারা এসে সকালে চালক এবং খালাসিকে উদ্ধার করে। পরের দিন ভোজ্য তেল উৎপাদনকারী সংস্থার কর্তারা ট্যাঙ্কারের চালক মোকসেদ আলমকে সঙ্গে নিয়ে বাগনান থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। তারপরেই তদন্তে নেমে পুলিশ পাঁচ দুষ্কৃতীকে ধরে। সোমবার ধৃতদের উলুবেড়িয়া এসিজেএম আদালতে হাজির করানো হয়।

জেলা পুলিশ সূত্রের খবর, রাজ্য জুড়ে বিভিন্ন জাতীয় সড়কে ট্যাঙ্কার এবং ট্রাক ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। ধৃত পাঁচ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে অন্যান্য ঘটনাগুলির সঙ্গে তাদের যোগ আছে কিনা এবং তাদের এই অপরাধমূলক কাজের ধরনের সঙ্গে অন্য গোষ্ঠীগুলির কাজের ধরন মিলিয়ে দেখার চেষ্টা চলবে বলে জেলা পুলিশ সুপার জানিয়েছেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement