উদ্যোগ: এখন থেকেও রাতেও মিলবে অ্যাম্বুল্যান্স।— নিজস্ব চিত্র।
রাত-বিরেতে উত্তরপাড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতাল থেকে রোগীদের অন্যত্র স্থানান্তরের সময়ে অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা নিয়ে তাঁদের আত্মীয়স্বজনের অভিযোগ ছিল দীর্ঘদিনের। হয় তাঁরা সময়মতো অ্যাম্বুল্যান্স পেতেন না, নয়তো বেশি ভাড়া গুনতে হতো। সেই সমস্যা মিটল। শুক্রবার রাত থেকে দু’টি করে অ্যাম্বুল্যান্স ওই হাসপাতালের চৌহদ্দিতে থাকছে।
শুক্রবার দুপুরেই অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত সব পক্ষকে নিয়ে বৈঠকে বসেছিলেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এবং পুলিশ। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন হাসপাতালের সুপার দেবাশিস চট্টোপাধ্যায় এবং উত্তরপাড়া থানার আইসি সুপ্রকাশ পট্টনায়েক। হাসপাতাল সূত্রের খবর, সেখানেই সিদ্ধান্ত হয়, প্রতিদিন রাতে অন্তত দু’টি অ্যাম্বুল্যান্স ওই হাসপাতালের চৌহদ্দিতে থাকবে। বেশি রাতে কোনও রোগীকে স্থানান্তরের প্রয়োজন হলে তাঁর পরিজনরা অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা পাবেন। বৈঠকে অ্যাম্বুল্যান্স-চালকদের বেশি অঙ্কের টাকা দাবি করার বিষয়টিও সামনে আসে। সিদ্ধান্ত হয়, এ ক্ষেত্রে পুলিশ মধ্যস্থতা করে রোগীর পরিজনদের পরিষেবা পেতে সাহায্য করবে।
হাসপাতালের চৌহদ্দিতে থাকা অ্যাম্বুল্যান্স নিয়ে সাধারণ মানুষের অভিযোগ তো ছিলই, রাতে শহরের অন্য অ্যাম্বুল্যান্স নেওয়ার ক্ষেত্রেও তাঁরা একই রকম সমস্যায় পড়ছিলেন বলে উত্তরপাড়া হাসপাতালের সুপারকে জানিয়েছিলেন রোগীর আত্মীয়েরা। তার জেরে ওই বৈঠক হয়। সুপার দেবাশিস চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘বৈঠকে স্থির হয়েছে, হাসপাতালে সাত দিনই বেশি রাতেও অ্যাম্বুল্যান্স মিলবে। অ্যাম্বুল্যান্সের ফোন নম্বরের তালিকা হাসপাতালের আপৎকালীন বিভাগে টাঙানো থাকছে।’’ চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেটের এক কর্তা বলেন, ‘‘উত্তরপাড়া হাসপাতালে রাতেও পুলিশ ক্যাম্প থাকে। কোনও ক্ষেত্রে রোগীর পরিজন সমস্যায় পড়লে তাঁরা পুলিশের সাহায্য পাবেন। এ ছাড়া যে সব ক্লাব ও সংস্থায় অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবার ব্যবস্থা রয়েছে, তারা যাতে রাতেও পরিষেবা দেয়, সে বিষয়ে শীঘ্রই পুলিশ তাদের নিয়ে বৈঠকে বসবে।’’