বিল্ডিং ঝাঁ চকচকে। কিন্তু পরিষেবা সেই তিমিরে। ফার্মাসিস্ট ও একজন চতুর্থ শ্রেণির কর্মীই সম্বল আমতা ২ নম্বর ব্লকের গাজিপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের।
এলাকাটি প্রত্যন্ত। তাই স্থানীয় বাসিন্দাদের কথা মাথায় রেখে স্বাস্থ্য দফতর এই স্বাস্থ্যকেন্দ্রটির আধুনিকীকরণের পরিকল্পনা করে। এখানে ২৪ ঘণ্টা পরিষেবা দেওয়ার পাশাপাশি অন্তর্বিভাগ চালুর কথাও ভাবা হয়। বছর পাঁচে আগে নতুন বিল্ডিং তৈরি হয়। কিন্তু পরিকল্পনা আর বাস্তবায়িত হয়নি। অভিযোগ, পরিকল্পনা রূপায়ণ তো দূর অস্ত, বহির্বিভাগই ঠিকমতো চলে না। গত দেড় বছর কোনও চিকিৎসক, নার্স নেই।
স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, এখানে কমপক্ষে দু’জন চিকিৎসক, একজন ফার্মাসিস্ট, দু’জন করে নার্স ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মী থাকা দরকার। যেহেতু এই স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি আধুনিকীকরণ করা হয়েছে। তাই স্বাস্থ্যকর্মীর সংখ্যা আরও বেশি থাকার কথা। কিন্তু গত বছর মার্চ মাস থেকে চিকিৎসক অবসর নেওয়ার পর থেকে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছে এই স্বাস্থ্যকেন্দ্র। ব্লক স্বাস্থ্যকর্তা শর্মিলা চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘চিকিৎসকের সমস্যা রয়েছে। তবে এলাকার লোকেদের কথা ভেবে মাঝে মধ্যেই এখানে স্বাস্থ্য শিবির করা হয়। কিন্তু এটা স্থায়ী সমাধান নয়। সমস্যার কথা স্বাস্থ্য দফতরকে জানানো হয়েছে।’’
চিকিৎসক না থাকায় ফার্মাসিস্টই রোগী দেখছেন। ওষুধ দেওয়ার কাজ করছেন চতুর্থ শ্রেণির কর্মী। অথচ এই স্বাস্থ্যকেন্দ্রের উপরে গাজিপুর, নপাড়া, তাজপুর ও কুশবেড়িয়া— এই চারটি পঞ্চায়েত এলাকার মানুষ নির্ভরশীল। প্রতিদিন ১৫০ বেশি রোগী হয় বহির্বিভাগে। ছোটখাট রোগের ক্ষেত্রে ফার্মাসিস্ট রোগী দেখেন। জটিল কিছু হলেই রোগীদের ছুটতে হয় জয়পুর ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে বা অন্য হাসপাতালে। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ভবানী দাস বলেন, ‘‘আমরাও স্বাস্থ্য দফতরকে জানিয়েছি। তারা দ্রুত চিকিৎসক নিয়োগের আশ্বাস দিয়েছে।’