MLA

বিধায়কের তোপের মুখে ভূমি দফতর

অসিতবাবুর অভিযোগ, বিএলএলআরও অফিসের তরফে পুকুরের সীমানা নির্দেশক খুঁটি বসানো হয়েছিল। তা উপড়ে ফেলা হয়েছে। প্রতিবাদ করায় গরিব মানুষের নামে মামলা করা হয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

চুঁচুড়া শেষ আপডেট: ০৭ অক্টোবর ২০২০ ০৫:১০
Share:

পুকুর ভরাটের অভিযোগ পেয়ে চুঁচুড়ার যুগিপাড়া লেনে স্থানীয় বিধায়ক অসিত মজুমদার। ছবি: তাপস ঘোষ

এক বছর আগে স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক অসিত মজুমদারের অভিযোগ পেয়ে চুঁচুড়া শহরের যুগিপাড়া লেনে পাশাপাশি ভরাট হওয়া দু’টি পুকুর পুনরুদ্ধারে অভিযানে নেমেছিল প্রশাসন। তার একটি ফের ভরাটের চেষ্টার অভিযোগ তুললেন অসিতবাবু। এই ব্যাপারে তিনি নালিশ জানিয়েছেন জেলাশাসকের কাছে। প্রশ্ন তুলেছেন ব্লক ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরের (বিএলএলআরও) ভূমিকা নিয়েও।

Advertisement

মঙ্গলবার সকালে অসিতবাবু ওই পুকুরের পরিস্থিতি সরেজমিনে দেখতে যান। সঙ্গে ছিল পুলিশ। বিধায়ককের কাছে স্থানীয় লোকজন ক্ষোভ উগরে দেন। তাঁদের অভিযোগ, স্থানীয় এক ব্যক্তি পুকুর ভরাট করছেন। বাধা দেওয়ায় হুমকি দিচ্ছেন, থানায় মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করছেন।

এক যুবক বলেন, ‘‘নানা দফতরে অভিযোগ জানিয়েছি। বিএলএলআরও পুকুর ভরাটকারীর বিরুদ্ধে এফআইআর করলেন না কেন?’’ অসিতবাবুর অভিযোগ, বিএলএলআরও অফিসের তরফে পুকুরের সীমানা নির্দেশক খুঁটি বসানো হয়েছিল। তা উপড়ে ফেলা হয়েছে। প্রতিবাদ করায় গরিব মানুষের নামে মামলা করা হয়েছে। বিষয়টি তিনি অতিরিক্ত জেলাশাসককে (ভূমি ও ভূমি সংস্কার) জানিয়েছেন। তাঁর কথায়, ‘‘আইনের মাধ্যমে বিএলএলআরও, পুলিশের সাহায্যে ওই পুকুর ভরাট বন্ধ করেছিলাম। ভরাট হতে দেব না।’’

Advertisement

বিএলএলআরও দফতরের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ বিধায়ক একটি কাগজ দেখিয়ে দাবি করেন, ওই ব্যক্তির একটি জমির নামপত্তন (মিউটেশন) এক দিনেই হয়ে গিয়েছে। অথচ সাধারণ মানুষকে এই কাজে বছরের পর বছর অপেক্ষা করতে হয়। তথ্যের অধিকার আইনে এক ব্যক্তির চিঠির জবাব এক মাসেও বিএলএলআরও দেননি বলেও তাঁর অভিযোগ। জেলাশাসক ওয়াই রত্নাকর রাওয়ের কাছে গোটা বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ জানান বিধায়ক।

বিধায়কের কথায়, ‘‘এ সবের পিছনে কী আছে, জানি না। জেলাশাসক বিচার করুন।’’ জেলাশাসক বলেন, ‘‘বিধায়ক কিছু অভিযোগ করেছেন। অতিরিক্ত জেলাশাসককে (ভূমি ও ভূমি সংস্কার) দেখতে বলেছি। খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’

যাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ তিনি অবশ্য এই কথা মানেননি। তিনি বলেন, ‘‘পুকুর সমেত জমিটা আমি কিনেছি। এর বৈধ নথি রয়েছে। কিছু মানুষ আমার জমি দখল করে রেখেছিলেন। অনেকবার জানিয়েও লাভ হয়নি। বাধ্য হয়ে আদালতের দ্বারস্থ হই। কে ঠিক, কে ভুল, আদালতই বিচার করবে। পুকুর ভরাটের অভিযোগ মিথ্যা।’’

অভিযোগ মানেনি বিএলএলআরও দফতরও। সেখানকার এক আধিকারিকের দাবি, ‘‘এলাকাবাসীর অভিযোগ পেয়ে এক জন রেভিনিউ অফিসার ওখানে গিয়েছিলেন। ভরাট হওয়া অংশ ১৫ দিনের মধ্যে আগের অবস্থায় ফেরাতে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে আইন মোতাবেক নোটিস দেওয়া হয়েছে সোমবার। নির্দেশ না-মানলে এফআইআর করা হবে।’’ তাঁর দাবি, এক বছর আগে পুকুর ভরাটকারীদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করা হয়েছিল। ভরাট হওয়া অংশ খুঁড়ে দেওয়ায় সেই অভিযোগ তুলে নেওয়া হয়। মিউটেশন নিয়ে অভিযোগও তিনি মানেননি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement