ফুলেশ্বরে গঙ্গায় তলিয়ে যাওয়া একাদশ শ্রেণির ছাত্র মিণ্টু মাইতির দেহ উদ্ধার হল উলুবেড়িয়ার জগদীশপুর এলাকা থেকে। কাকা রঞ্জিত মাইতি বলেন, ‘‘মিণ্টু তলিয়ে গিয়েছিল না কি, তার মৃত্যুর পিছনে অন্য কোনও রহস্য আছে— তা তদন্ত করে দেখার জন্য পুলিশের কাছে দাবি জানিয়েছি।’’ আপাতত পুলিশ অপহরণের মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে। দেহটি শুক্রবার উলুবেড়িয়া হাসপাতালে ময়নাতদন্ত করা হয়। জেলা পুলিশের এক কর্তা জানান, ময়না তদন্তের রিপোর্টে যদি অস্বাভাবিক কিছু থাকে, তা হলে সেই মতো অতিরিক্ত ধারা যুক্ত করে তদন্ত করা হবে।
শিবপুরের যশোদাময়ী আদর্শ বিদ্যামন্দিরের একাদশ শ্রেণির ছাত্র মিণ্টুর বাড়ি নাজিরগঞ্জের হালদার পাড়ায়। বুধবার কয়েকজন সহপাঠীর সঙ্গে ফুলেশ্বরে গঙ্গায় স্নান করতে যায়। দুপুর আড়াইটে নাগাদ ফুলেশ্বরের বৈকুণ্ঠপুরে স্নান করার সময় সে নিখোঁজ হয়ে যায়। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, মিণ্টু স্কুলে যাওয়ার জন্য বেলা ১১টা নাগাদ বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল। কিন্তু স্কুল ছুটির পরেও সে বাড়ি ফিরছে না দেখে নাজিরগঞ্জ তদন্তকেন্দ্রে নিখোঁজ ডায়েরি করা হয়। তার কিছুক্ষণ পরেই সহপাঠীদের কাছ গঙ্গায় নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার কথা জানতে পারে পরিবারের লোকেরা। পুলিশ ও রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী তল্লাশি চালিয়েও তার সন্ধান পাচ্ছিল না। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জগদীশপুরে গঙ্গায় দেহটি ভেসে থাকতে দেখে স্থানীয় বাসিন্দারা পুলিশকে খবর দেন।