উত্তরবঙ্গের তিনটি জেলায় আগেই চালু হয়েছিল। এ বার দক্ষিণবঙ্গের হুগলি-সহ কয়েকটি জেলায় আগামী ১ জুলাই থেকে জাতীয় খাদ্য নিরাপত্তা আইন বলবৎ করতে উদ্যোগী হল রাজ্য সরকার। সোমবার চন্দননগর রবীন্দ্রভবনে এক প্রশাসনিক বৈঠকে এ কথা জানান খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘আগামী ১ জুলাই থেকে খাদ্য সুরক্ষা আইন বলবৎ করার কাজ শুরু হবে। ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে গোটা রাজ্যে এই আইন চালু হয়ে যাবে। অনাহারে যাতে রাজ্যের কোনও মানুষের মৃত্যু না হয়, তার জন্যই এই ব্যবস্থা। অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এই আইন বলবৎ হলে প্রায় ৬ কোটি ১ লক্ষ মানুষ উপকৃত হবেন।’’
খাদ্য সরবরাহ দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, দক্ষিণবঙ্গের মধ্যে হুগলিতেই প্রথম এই বৈঠক হল। এ বার থেকে ডিজিটাল কার্ডের মাধ্যমে রেশনের জিনিসপত্র নেবেন গ্রাহকেরা। হুগলিতে এত দিন রেশন কার্ডের সংখ্যা ছিল ৬২ লক্ষ। নতুন ব্যবস্থায় সেই সংখ্যা কমে দাঁড়াচ্ছে ২৪ লক্ষ ৮১ হাজার। খাদ্য সুরক্ষা আইনের আওতায় আসা আর্থ-সামাজিক ভাবে পিছিয়ে পড়া পরিবারগুলির সদস্যেরা মাসে ৩৫ কেজি (চাল,গম, আটা) খাদ্যশস্য পাবেন। ৩ টাকা কেজি দরে চাল এবং ২ টাকা কেজি দরে গম দেওয়া হবে। এ ছাড়া পরিবারগুলির মধ্যে বিশেষ ভাবে চিহ্নিত নিম্নবিত্ত পরিবারগুলিকে মাথাপিছু ৫০০ গ্রাম চিনি কেজিপ্রতি ১৩.৫০ টাকা দরে দেওয়া হবে। উপভোক্তারা তাঁদের প্রাপ্য খাদ্যসামগ্রী না পেলে জেলা অভিযোগ নিষ্পত্তি আধিকারিকের কাছে অভিযোগ জানাতে পারেন।
উপভোক্তা পরিবারের তালিকা প্রত্যেক রেশন দোকানে রাখতে হবে। এ দিন মন্ত্রী জনপ্রতিনিধিদের জানিয়ে দেন যে কোনও দোকান সপ্তাহে সাড়ে পাঁচদিন খোলা না রাখলে উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে হবে। এ দিন বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কৃষি প্রতিমন্ত্রী বেচারাম মান্না, জেলাশাসক সঞ্জয় বনশল।