শনিবার রসপুরে ম্যারাথনের ছবিটি তুলেছেন সুব্রত জানা।
‘শিক্ষার জন্য ম্যরাথন’। শনিবার সকাল ঠিক সাড়ে দশটায় হাওড়ার আমতার রসপুর থেকে শুরু হল ম্যারাথন। ২১ কিলোমিটার পথ পরিক্রমা করে তা শেষ হল আড়াই ঘণ্টা পরে। দৌড়ে যোগ দেন ১৮ জন মহিলা-সহ ৩৫০ জন। তাঁদের উৎসাহ দিতে দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে আসেন লারা ক্রুইসক্যাম্প। যিনি গত এক বছরে সাতটি মহাদেশে সাতটি ম্যরাথনে যোগ দিয়েছিলেন। তাঁর সঙ্গে ছিলেন সাতটি মহাদেশে একাধিক ম্যারাথনে যোগদানকারী হাওড়ার দাশনগরের বাসিন্দা ঘনশ্যাম অধিকারী। তিনিই এ দিনের ম্যারাথনের উদ্যোক্তা। তাঁকে সাহায্য করেছে রসপুরের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা।
লারা এবং ঘনশ্যামবাবু নিজের নিজের দেশের জাতীয় পতাকা হাতে কিছুটা দৌড়ান। এ দিন ম্যারাথনের সূচনা করেন রাজ্য অ্যাথলেটিক অ্যাসোসিয়েশনের কার্যকরী সহ-সভাপতি তথা উলুবেড়িয়ার সাংসদ সুলতান আহমেদ।
গ্রামীণ এলাকায় এমন বড়মাপের দৌড় সচরাচর হয় না। তাই মানুষের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। স্থানীয় ক্লাব, স্কুল-কলেজ পড়ুয়া, কলকাতা থেকেও অনেকে এই দৌড়ে যোগ দেন। জয়পুর, উদয়নারায়ণপুর, আমতা এই তিন থানার বিভিন্ন এলাকা পরিক্রমা করেন প্রতিযোগীরা। যান নিয়ন্ত্রণ করতে পুলিশি ব্যবস্থা করা হয়েছিল। রাস্তার ধারে ছিল প্রতিযোগীদের জল ও লেবু দেওয়ার ব্যবস্থা। ছিল চিকিৎসা ব্যবস্থাও। লারা বলেন, ‘‘বিশ্বের বহু জায়গায় ম্যারাথনে যোগ দিয়েছি। কিন্তু ছোট্ট এই গ্রামে মানুষের মধ্যে উৎসাহ আমাকে অনুপ্রাণিত করেছে।’’ ঘনশ্যামবাবু বলেন, ‘‘মানুষের উৎসাহ দেখে আমিও দৌড়তে নেমে পড়ি।’’
দৌড় ঠিকঠাক নিয়ম মেনে হচ্ছে কি না, দেখার জন্য রাজ্য অ্যাথলেটিক অ্যাসোসিয়েশনের তরফ থেকে একটি দল এসেছিল। ১০ জন সেরা প্রতিযোগীকে পুরস্কৃত করা হয়।