তাঁর রাজনৈতিক জীবন তৈরি করে দিলেও প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী রাজীব গাঁধীকে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মনে রাখেননি বলে অভিযোগ তুললেন কংগ্রেস সাংসদ প্রদীপ ভট্টাচার্য। বৃহস্পতিবার রাজীব গাঁধীর মৃত্যুদিবস উপলক্ষে ডোমজুড়ের বাঁকড়ায় এক অনুষ্ঠানে গিয়ে ওই অভিযোগ তুলে প্রদীপবাবু বলেন, ‘‘কেন্দ্র কিংবা রাজ্য সরকার কেউই রাজীব গাঁধীর নাম উচ্চারণ করতে চায় না। তাঁকে সম্মান জানাতে চায় না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও রাজীবের ভূমিকা ভুলে গিয়েছেন।’’
এ দিন বাঁকড়ার নয়াবাজ এলাকায় রাজীব-স্মরণের আয়োজন করেছিল স্থানীয় ‘রাজীব গাঁধী স্মৃতি রক্ষা কমিটি’ এবং ডোমজুড় ব্লক কংগ্রেস। সভায় প্রদীপবাবু ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন প্রদেশ কংগ্রেস নেতা আব্দুল মান্নান, জেলা কংগ্রেস সভাপতি কাজি আব্দুল রেজ্জাক-সহ দলের ব্লক স্তরের নেতারা। মান্নান দাবি করেন, গোটা দেশের টেলি-যোগাযোগ ব্যবস্থার রূপকার ছিলেন রাজীব গাঁধী। কিন্তু বর্তমান কেন্দ্র সরকার তাঁকে যোগ্য সম্মান দিতে চায় না। এ দিন সভার শেষে স্থানীয় রাজীব কলোনিতে রাজীব গাঁধীর একটি শহিদ বেদির উদ্বোধন করা হয়। সভার শুরুতে জেলা কংগ্রেস নেতা পলাশ ভাণ্ডারী অভিযোগ করেন, তাঁদের সভাস্থলের সামনে তৃণমূলের পতাকা টাঙিয়ে সভা বানচালের চেষ্টা করা হয়েছিল। সভায় না আসার জন্য হুমকি দেওয়াও হয়েছে। যদিও তৃণমূল অভিযোগ মানেনি। ডোমজুড়ের তৃণমূল বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি, ‘‘ওই এলাকায় কংগ্রেসের কোনও সংগঠন নেই। তাই রাজীব গাঁধীর স্মরণসভাতেও বস্ত্র বিতরণের নাম করে মহিলাদের এনে চেয়ার ভরাতে হয়েছে। হুমকির অভিযোগ মিথ্যা।’’