জোর করে জমি দখলের নালিশ

দীর্ঘ দিনের এক ভাগচাষির কাছ থেকে জোর করে জমি হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের এক নেতার বিরুদ্ধে। ঘটনাটি আরামবাগের আরাণ্ডি ১ পঞ্চায়েতের সাতমাসা গ্রামের।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

আরামবাগ শেষ আপডেট: ১১ অগস্ট ২০১৬ ০২:২১
Share:

দীর্ঘ দিনের এক ভাগচাষির কাছ থেকে জোর করে জমি হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের এক নেতার বিরুদ্ধে। ঘটনাটি আরামবাগের আরাণ্ডি ১ পঞ্চায়েতের সাতমাসা গ্রামের।

Advertisement

অভিযোগ, স্থানীয় প্রশাসনকে জানিয়েও ভাগচাষি দুই ভাই বাদল হালদার এবং সুশীল হালাদার সাহাস্য পাননি। অন্য উপায় না পেয়ে তাঁরা বুধবার মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ হন। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ৮০৩ দাগের ১ একর ৫২ শতক জমির আগের মালিক ছিলেন হিয়াৎপুর গ্রামের মানিক মুখোপাধ্যায়ের পরিবার। বাদল হালদারের অভিযোগ, ‘‘বাবার আমল থেকে ওই জমি ভাগে চাষ করে আসছি আমরা। বছর দুই আগে তৃণমূল নেতা সোরাব হোসেন ওই জমি কিনে নেন। তার পরেই একই দলের সমর্থক হওয়া সত্ত্বেও আমাদের উচ্ছেদ করে দেন তিনি। সেই সময় থানা এবং আদালতে গিয়ে মামলা করা হয়। তখন মারধর করে সেই মামলা তুলে নিতে বাধ্য করেন ওই নেতা। ব্লক ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরের অফিসার এসেও ওঁদের পক্ষ নেন। তাই সুবিচারের আশায় নবান্নে গিয়ে অভিযোগ করেছি।’’

অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা সোহরাব হোসেন বলেন, ‘‘জোর করে জমি দখল করিনি। মালিকপক্ষই আমাকে জমির দখল দিয়েছেন। ওই জমিতে কেউ ভাগে চাষ করতেন বলে আমার জানা নেই।’’ জমির পুরনো মালিকদের পক্ষে মানিক মুখোপাধ্যায়ের অভিযোগ, ‘‘প্রায় বছর ৩০ ধরে আমরা জমির ফসলের ভাগ পাইনি। ফসলের ভাগ চাইতে গেলে মারমুখি হয়ে তাঁরা তাড়িয়ে দিতেন। তা নিয়ে মামলাও ছিল। গত বছর ৫ ধরে জমিতে হালাদর ভাইরা চাষও করতেন না। উপযুক্ত মূল্যে সেই জমি আমি বিক্রি করে দিই।’’

Advertisement

ব্লক ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরের পরিদর্শক সমরকুমার দাস বলেন, ‘‘আমি তদন্ত করে দেখেছি, যাঁরা নিজেদের ভাগচাষি বা বর্গাদার বলে দাবি করছেন তাঁদের দখলে সংশ্লিষ্ট জমি নেই। বহুদিন আগেই তাঁরা জমির দখল ছেড়ে দিয়েছেন।’’ পুলিশ জানায়, জোর করে জমি দখল বা প্রাণনাশের হুমকি নিয়ে বাদল হালাদাররা থানায় কোনও অভিযোগই করেননি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement