বেহাল: এই রাস্তা দিয়েই নিত্য যাতায়াত। নিজস্ব চিত্র
ইতিউতি অসংখ্য খানাখন্দ। কোথাও বড় বড় গর্ত। তাতে জল জমে রাস্তা যেন পুকুর!
কোন্নগর স্টেশন থেকে নবগ্রাম এবং কানাইপুর পঞ্চায়েতের উপর দিয়ে চলে যাওয়া রাস্তাটির পোশাকি নাম নৈটি রোড। অভিযোগ, এই রাস্তা দিয়ে উপর যাতায়াত করতে গিয়ে প্রাণ ওষ্ঠাগত পথচারী থেকে গাড়িচালকের। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার হচ্ছে না। অবিলম্বে রাস্তাটির পূর্ণাঙ্গ সংস্কারের দাবি তুলছেন সাধারণ মানুষ। প্রশাসন সূত্রের দাবি, সংস্কারের প্রক্রিয়া
চলছে। তবে বর্ষা বিদায় না নিলে কাজ কতটা এগোবে, সেই নিয়ে সংশ্লিষ্ট সকলে সন্দিহান।
কোন্নগর স্টেশন থেকে রাস্তাটি দিল্লি রোডে মিশেছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, রাস্তার বহু অংশে পিচের আস্তরণ উঠে গর্ত হয়ে যাওয়ায় অটো-টোটো উল্টে যাওয়ার ভয় থাকে। দুর্ঘটনা প্রায়ই হয়। দিন কয়েক আগে ‘হুগলি জেলা সিটিজেন্স ফোরাম’ নামে একটি নাগরিক সংগঠন সমস্যার কথা জানিয়ে জেলা পরিষদে স্মারকলিপি দিয়েছে।
সংগঠনের সদস্য তথা আইনজীবী হারাধন ঘোষ নবগ্রামের ছোট বহেরায় থাকেন। তাঁর ক্ষোভ, ‘‘গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাটির এখন যাচ্ছেতাই অবস্থা। কোনও কোনও অংশে বৃষ্টির জল জমে এমন অবস্থা যে, কোনটা রাস্তা, কোনটা নর্দমা, বোঝা দায়। সবটাই যেন পুকুর!’’ রাস্তার দু’ধারে বসতি রয়েছে। সাধারণ মানুষের যাতায়াতের পাশাপাশি পণ্যবাহী গাড়িও চলে। সংগঠনের রাজ্য সভাপতি শৈলেন পর্বত বলেন, ‘‘রাস্তা না বিভীষিকা! জনস্বার্থে অবিলম্বে রাস্তাটির পূর্ণাঙ্গ সংস্কার করা দরকার।’’
জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ সুবীর মুখোপাধ্যায় জানান, কোন্নগর স্টেশন থেকে দিল্লি রোড হয়ে দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ে পর্যন্ত রাস্তা সংস্কার করা হচ্ছে বাংলা সড়ক যোজনা প্রকল্পের পাঁচ কোটি টাকায়। জেলা পরিষদ কাজের তত্ত্বাবধান করছে। দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ের দিক থেকে খড়িয়াল পর্যন্ত কাজ এগিয়েছে। বাকি অংশে কেএমডব্লিউএসএ জলের ভুগর্ভস্থ পাইপ বসাচ্ছে। লকডাউনের জন্য এই কাজ আটকে গিয়েছিল। সেই কাজ হয়ে গেলেই ওই অংশেও রাস্তার কাজে হাত দেওয়া হবে। সুবীর বলেন, ‘‘কেএমডব্লিউএস-এ জানিয়েছে মাস খানেকের মধ্যে কাজ শেষ হয়ে যাবে। তার পরে যত শীঘ্র সম্ভব রাস্তার কাজ করে ফেলা হবে। ঠিকাদার সংস্থা ৫ বছর রাস্তার সংরক্ষণও করবে।’’