পুরসভায় অস্থায়ী কর্মীদের জটলা। —নিজস্ব চিত্র.
হুগলি-চুঁচুড়া পুরসভায় মজদুর বা ‘গ্রুপ-ডি’ পদে নতুন নিয়োগপত্র দেওয়ার ব্যাপারে বুধবার অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ জারি করলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সৌমেন সেন।
পুরসভার একটি সূত্রের দাবি, গত ২৩ মার্চ ‘গ্রুপ-ডি’ পদে ৭৬ জনকে নিয়োগপত্র দেওয়া হয়। তাঁরা মার্চের বেতনও পান। নিয়োগে অস্বচ্ছতার কারণ দেখিয়ে গত ৩ জুলাই রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরের নির্দেশ মোতাবেক ‘ডিরেক্টর অফ লোকাল বডিজ়’ ওই ৭৬ জনের নিয়োগ বাতিল করতে বলে পুর কর্তৃপক্ষকে। এর পরেই কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেন চাকরি পাওয়া বিদেশচন্দ্র জানা-সহ সাত জন। তাঁদের আইনজীবী এক্রামুল বারি বৃহস্পতিবার জানান, মামলার আবেদনে বলা হয়, কেন নিয়োগ বাতিল হল, সে ব্যাপারে বক্তব্য পেশ করার কোনও সুযোগই দেওয়া হয়নি ওই কর্মীদের। গত সোমবার বিচারপতি সেন মামলার শুনানিতে সরকার পক্ষের আইনজীবীকে নির্দেশ দেন, কোন অভিযোগের ভিত্তিতে পুর ও নগরোন্নয়ন দফতর নিয়োগ বাতিল করেছে, তা বুধবার আদালতে হাজির হয়ে জানাতে হবে সংশ্লিষ্ট দফতরের প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি অথবা তাঁর আইনজীবীকে।
এ দিন সরকারপক্ষের আইনজীবী আদালতে আর্জি জানান, অভিযোগ এবং নিয়োগ সংক্রান্ত সব নথি আদালতে পেশ করার জন্য সময় দেওয়া হোক। পুরসভা কর্তৃপক্ষের আইনজীবী দাবি করেন, নিয়োগ হয়েছিল নিয়ম মেনেই। সূত্রের খবর, ওই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে ১৫ অগস্টের পরে। পুরসভার এগজ়িকিউটিভ অফিসারকে ঘিরে এ দিন বিক্ষোভ দেখান অস্থায়ী কর্মীরা। তাঁদের প্রশ্ন, নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিল হওয়ার পরেও কেন ওই কর্মীদের স্যালারি অ্যাকাউন্ট বন্ধ হয়নি। তাঁদের থেকে বেতনও ফেরত নেওয়ার দাবি তুলেছেন অস্থায়ী কর্মীরা। বিক্ষোভ শুরুর আগে পুরভবন ছাড়েন প্রশাসকমণ্ডলীর চেয়ারম্যান গৌরীকান্ত মুখোপাধ্যায়। বিক্ষোভে হাজির ছিলেন পুরসভার বিদায়ী ভাইস চেয়ারম্যান অমিত রায়। পুরসভা সূত্রে খবর, যে সব কর্মচারীদের নিয়োগ বাতিল হয়েছে, তাঁদের স্যালারি অ্যাকাউন্ট বন্ধ করার অনুরোধ করেছেন পুর কর্তৃপক্ষ। বিক্ষোভকারীদের মুখপাত্র রাধেশ্যাম শঙ্খবণিকের দাবি, ‘‘দ্রুত নিয়োগ প্রক্রিয়া চালু করতে হবে।’’