সে ভাবে বাজির দাপট দেখা যায়নি হাওড়ায়। নিজস্ব চিত্র।
করোনা আবহের মধ্যেই দীপাবলি। তবে অন্যান্য বারের তুলনায় এ বার চিত্রটা অনেকটাই আলাদা হাওড়া জেলায়। সন্ধ্যা থেকেই আলোয় সেজে ওঠে বাড়ি কিংবা আবাসন। কিন্তু সে ভাবে বাজির দাপট দেখা যায়নি। শব্দ বাজির দাপটে অন্যান্য বছর যেমন কান পাতা যায় না, তেমনটা হয়নি। শহর থেকে গ্রাম সব জায়গা থেকেই একই খবর মিলেছে।
মাঝে মধ্যে কিছু বাজি ফাটার আওয়াজ এলেও তা খুবই কম। এ বার হাইকোর্টের নির্দেশ মতো বাজি ফাটানো নিষিদ্ধ হওয়ায় পুলিশ আগে থেকেই ময়দানে নামে। মাইকে প্রচার চালানো হয়েছে সর্বত্র। কোথাও বাজির বাজার বসতে দেওয়া হয়নি। দোকানে বিক্রি হয়নি বাজি। তবে আড়ালে আবডালে কিছু বাজি বিক্রি হয়েছে।
বাজি বিক্রি রুখতে শনিবারও চলে পুলিশের অভিযান। হাওড়ার উলুবেড়িয়া, রাজাপুর ও জগৎবলভপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে লক্ষাধিক টাকার বাজি বাজেয়াপ্ত করে পুলিশ। সকাল থেকে নজরদারি চালানো হয় জেলার সর্বত্র। বিশেষ করে হাওড়া শহরের বিভিন্ন আবাসন ও ক্লাবগুলির উপরে কড়া নজর ছিল। সন্ধে থেকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকলেও রাত বাড়লে কী হবে সেটা বড় চ্যালেঞ্জ পুলিশের কাছে।