জয়শ্রী টেক্সটাইলস। ফাইল চিত্র।
হুগলির রিষড়ায় আদিত্য বিড়লা গোষ্ঠীর জয়শ্রী টেক্সটাইলস খোলা নিয়ে ফের ত্রিপাক্ষিক বৈঠক হল। কিন্তু রফাসূত্র মিলল না। শ্রমিকদের ব্যাপারে আরও কড়া অবস্থান নিলেন কারখানা কর্তৃপক্ষ। বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করে তবেই কারখানা খোলার শর্ত দিলেন তাঁরা।
বৃহস্পতিবার বিকেলে কলকাতায় শ্রম দফতরে বৈঠক হয়। শ্রমমন্ত্রী মলয় ঘটক এবং ওই দফতরের আধিকারিকরা বৈঠকে ছিলেন। মালিকপক্ষের তরফে সিইও সাত্যকি ঘোষ-সহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন। শ্রমিকদের তরফে ছিলেন কারখানার আটটি শ্রমিক-সংগঠনের প্রতিনিধিরা।
সূত্রের খবর, মিলকর্তারা জানিয়ে দেন, কারখানা খোলার লক্ষ্যে গত ২৪ জুন পর্যন্ত কর্তৃপক্ষ শ্রমিকদের অনেক সুযোগ দিয়েছিল। শ্রমিকরা তাতে কর্ণপাত করেননি। ‘লক আউটের’ পরে ওই সব শর্ত আর প্রযোজ্য নয়। সাম্প্রতিক গোলমালের ঘটনায় অভিযুক্ত দুই শ্রমিককে সাময়িক বরখাস্ত রেখে তদন্ত চালানো এবং বাকি বারো জনকে অল্প শাস্তি বা সতর্ক করে কাজে ফিরিয়ে নেওয়ার কথা বলা হয়েছিল। এ দিন অবশ্য জানানো হয়, ওই ১৪ জনের বিরুদ্ধেই তদন্ত চলবে। তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাঁরা ‘সাসপেন্ড’ থাকবেন।
গত বছর বহিষ্কৃত ন’জনকে কাজে ফেরানোর ব্যাপারে কোনও আলোচনাই করা হবে না। তাঁদের নিয়ে কোনও সমঝোতাই মালিকপক্ষ করবেন না। এ ব্যাপারে আইন অনুযায়ী তদন্ত হবে। শ্রমিকদের পাওনা-সহ বেশ কিছু ব্যাপারে আলোচনার জন্য বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছিল। তা চূড়ান্ত করার বন্দোবস্ত করতে হবে। কারখানা খুললে কাজে যোগ দেওয়ার আগে প্রত্যেক শ্রমিককে লিখিত প্রতিশ্রুতি দিতে হবে যে, কারখানার ভিতরে আর কোনও অশান্তি হবে না।
শ্রমিক নেতারা মালিকপক্ষের কাছে তাঁদের অবস্থান থেকে সরে আসার আবেদন জানান। মিলকর্তার অবশ্য তাতে রাজি হননি। বৈঠকে উপস্থিত এক শ্রমিক নেতার কথায়, ‘‘কর্তৃপক্ষ নিজেদের অবস্থানে অনঢ় থাকায় জট খোলার পরিস্থিতিই ছিল না।’’ কারখানার এক আধিকারিক বলেন, ‘‘উৎপাদন বন্ধ থাকায় প্রচুর আর্থিক ক্ষতি হচ্ছে। কিন্তু আমরা চাই না, এমন বিশৃঙ্খলা বার বার হোক। সুষ্ঠু ভাবে কারখানা চালুর জন্য কিছু শর্ত রাখা হয়েছে। এই অবস্থান থেকে আমরা সরব না।’’ রাজ্য সরকার আলোচনার মাধ্যমেই সমস্যা সমাধানের পক্ষপাতি। কারখানার পরিস্থিতি নিয়ে ফের বৈঠক ডাকা হতে পারে বলে প্রশাসনিক সূত্রের খবর।