Coronavirus Lockdown

ফের নিষ্ফলা ত্রিপাক্ষিক, যন্ত্রাংশ কারখানা বন্ধই

আমপানে ক্ষতিগ্রস্ত শেড এবং যন্ত্রপাতি মেরামতের জন্য দিল্লি রোডের ধারে ওই কারখানাটি গত ২২ মে থেকে বন্ধ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শ্রীরামপুর শেষ আপডেট: ০৩ জুন ২০২০ ০৬:২৩
Share:

প্রতীকী ছবি।

দু’পক্ষই নিজেদের অবস্থানে অনড়। ফলে, দ্বিতীয় ত্রিপাক্ষিক বৈঠকেও শ্রীরামপুরের বাঙ্গিহাটিতে বন্ধ হয়ে যাওয়া লোহার যন্ত্রাংশ তৈরির কারখানা খোলার সূত্র মিলল না।

Advertisement

আমপানে ক্ষতিগ্রস্ত শেড এবং যন্ত্রপাতি মেরামতের জন্য দিল্লি রোডের ধারে ওই কারখানাটি গত ২২ মে থেকে বন্ধ। এখানে স্থায়ী-অস্থায়ী মিলিয়ে প্রায় ১৩০ জন শ্রমিক আছেন। লকডাউনে বেশ কিছুদিন কারখানা বন্ধের পরে পরিস্থিতি শুধরনোর সময়েই ‘সাসপেনশন অব অপারেশন’ ঘোষণায় তাঁরা আরও বিপাকে পড়েন। কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত একতরফা দাবি করে তিনটি শ্রমিক সংগঠন আন্দোলনে নামে। কর্তৃপক্ষের লোকজনকে কারখানায় ঢুকতে বাধা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। অচলাবস্থা কাটাতে এক সপ্তাহ আগে শ্রীরামপুরে শ্রম দফতরে বৈঠক হয়। ফয়সলা না হওয়ায় মঙ্গলবার ফের সেখানে বৈঠক হয়।

বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন দুই উপ-শ্রম কমিশনার পার্থপ্রতিম চক্রবর্তী এবং সুকান্ত রায়চৌধুরী। কারখানা মালিক সন্দীপ পোদ্দার, কারখানার পার্সোনেল ম্যানেজার বিশ্বদীপ ভৌমিক এবং শ্রমিক সংগঠনের প্রতিনিধিরাও ছিলেন। প্রশাসন সূত্রের খবর, মার্চের শেষ দিকে লকডাউন হওয়ার পরে ওই মাসের বাকি দিনগুলিতে শ্রমিকদের দৈনিক ৮ ঘণ্টা কাজের মজুরি দেওয়া হয়। এপ্রিল মাসে ৪ ঘণ্টার মজুরি দেওয়া হয়। ওই সময়েও ৮ ঘণ্টা কাজের মজুরি দিতে হবে বলে শ্রমিক নেতারা দাবি জানান। শেড মেরামতের কাজ শুরুর দিন থেকে ‘সাসপেনশন অব অপারেশন’ তুলে ‘লে-অফ’ ঘোষণার দাবি জানানো হয়, যাতে শ্রমিকরা অর্ধেক বেতন পান। মালিকপক্ষ অবশ্য সাফ জানিয়ে দেন, উৎপাদন বন্ধ থাকায় প্রচুর লোকসান হয়েছে। তাই এই দাবি মানা সম্ভব নয়। এই অবস্থায় আলোচনা স্থগিত হয়ে যায়।

Advertisement

উপ-শ্রম কমিশনার পার্থপ্রতিমবাবু জানান, ক্ষতিগ্রস্ত শেড মেরামতের খরচ এবং সময় হিসেব করতে কর্তৃপক্ষ কাউকে কারখানার ভিতরে নিয়ে গেলে বাধা দেওয়া হবে না বলে শ্রমিক নেতারা আশ্বাস দিয়েছেন। বাকি বিষয়গুলি আগামী শুক্রবার ফের ত্রিপাক্ষিক বৈঠকে আলোচনা করা হবে। বৈঠক শেষে আইএনটিটিইউসি নেতা অন্বয় চট্টোপাধ্যায়ও একই কথা জানান।

যদিও, শ্রমিক সংগঠনের ভূমিকায় কারখানা মালিক সন্দীপবাবু ক্ষুব্ধ। তাঁর কথায়, ‘‘লকডাউনের ফলে যা পরিস্থিতি, তাতে ব্যবসা বাঁচানোর কথা ভাবতে হচ্ছে। শ্রমিক নেতাদের দাবি মানা অসম্ভব। কারখানার সামনে জঙ্গি আন্দোলন করা হচ্ছে! শেড মেরামতে সময় লাগবে। কারও বেঁধে দেওয়া সময়ে ওই কাজ করা যায় না। শুক্রবারের আলোচনায় কী হয়, দেখা যাক।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement