হুগলিতে জাতীয় ও রাজ্য সড়কে গাড়ির গতিতে রাশ

কমিশনারেটের তরফে সম্প্রতি ওই নির্দেশিকা পৌঁছে গিয়েছে সাতটি থানা এলাকায়। ওই বিধি ইতিমধ্যে কার্যকরও করা হয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

চুঁচুড়া শেষ আপডেট: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০১:৩৭
Share:

প্রতীকী ছবি।

দুর্ঘটনা কমাতে চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেটের তরফে জাতীয় এবং রাজ্য সড়কগুলিতে গাড়ির গতি বেঁধে দেওয়া হল। মূলত রাস্তাগুলির ক্রসিংয়ে গাড়ির গতি ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে।

Advertisement

কমিশনারেটের তরফে সম্প্রতি ওই নির্দেশিকা পৌঁছে গিয়েছে সাতটি থানা এলাকায়। ওই বিধি ইতিমধ্যে কার্যকরও করা হয়েছে। চন্দননগরের পুলিশ কমিশনার হুমায়ুন কবীর বলেন, ‘‘কমিশনারেট এলাকায় যেখানে জাতীয় ও রাজ্য সড়ক রয়েছে, মূলত রাস্তার ক্রশিংয়ে গাড়ির গতি বেঁধে দেওয়া হল। কারণ, ওই রাস্তাগুলির অনেক জায়গাতেই ট্র্যাফিক সিগন্যাল নেই। দুর্ঘটনা এড়াতেই এই সর্তকতা। পরবর্তী সময়ে পরিকাঠামোগত উন্নয়নে জোর দেওয়া হবে।’’

হুগলিতে দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়েই একমাত্র জাতীয় সড়ক। এ ছাড়া দিল্লি রোড, জিটি রোড, অহল্যাবাই রোড-সহ কয়েকটি রাজ্য সড়ক রয়েছে। ডানকুনি, কাপাসহাড়িয়া, সিঙ্গুর, গুড়াপ-সহ দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ের বেশ কিছু জায়গা দুর্ঘটনাপ্রবণ। লোকশিল্পী কালিকাপ্রসাদ ভট্টাচার্য কয়েক বছর আগে গুড়াপে এই এক্সপ্রেসওয়েতেই দুর্ঘটনাতে প্রাণ হারিয়েছিলেন। তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও সিঙ্গুরে দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়েতে দুর্ঘটনার কবলে পড়েছিলেন।

Advertisement

কয়েক বছর ধরে পুলিশের তরফে পথ নিরাপত্তায় ‘সেফ ড্রাইভ, সেভ লাইফ’ কর্মসূচির নিয়মিত প্রচার চালানো হচ্ছে। দিল্লি রোড সম্প্রসারণের কাজ এখনও শেষ হয়নি। ফলে, ট্র্যাফিক সিগন্যাল ব্যবস্থা নেই। আবার দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়েতে সিগন্যালের ব্যবস্থা থাকলেও অনেক সময় তা খারাপ থাকে। জিটি রোডের নানা ক্রসিংয়েরও একইঅবস্থা। এর জেরে প্রতিদিন দুর্ঘটনা বাড়ছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement