—ফাইল চিত্র।
ওয়ার্কার্স কো-অপারেটিভের আটকে রাখা টাকা শেষ পর্যন্ত তিন কিস্তিতে মেটাতে সম্মত হলেন উত্তরপাড়ার হিন্দুস্থান মোটরস কারখানা কর্তৃপক্ষ। গত শুক্রবার প্রথম কিস্তির টাকা পেয়ে গিয়েছেন ওই সমবায়ের কর্তারা। ়়তাঁরা ঠিক করেছেন, পুরো টাকা পাওয়ার পরই শ্রমিকদের প্রাপ্য ফিরিয়ে দেওয়া হবে।
কারখানা সূত্রে জানা গিয়েছে, শ্রমিক কো-অপারেটিভের সদস্য সংখ্যা ছিল প্রায় ১২০০। ওই কো-অপারেটিভ থেকে শ্রমিকরা প্রয়োজন অনুয়ায়ী ঋণ নিতেন। পরে শ্রমিকদের বেতন থেকেই সেই ঋণের টাকা কেটে নিতেন কর্তৃপক্ষ। আবার শ্রমিকদের সেই কেটে নেওয়া টাকা, কো-অপারেটিভকে ফিরিয়ে দিতেন হিন্দুস্থান মোটরস কারখানা কর্তৃপক্ষ। এতদিন কর্তৃপক্ষের কাছে শ্রমিকদের থেকে কেটে নেওয়া ১ কোটি ৩৪ লক্ষ টাকা জমা পড়ে ছিল।
২০১৪ সালে বন্ধ হয়ে যায় হিন্দমোটর কারখানা। কো-অপারেটিভ কর্তাদের অভিযোগ, বারবার চাওয়ার পরও কারখানা কর্তৃপক্ষ সেই টাকা ফেরত দিচ্ছিলেন না। কারখানার বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের তরফেও টাকা ফেরত চেয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছিল কর্তৃপক্ষকে। কিন্তু কোনও সুরাহা মেলেনি।
এরপর বিষয়টি জানানো হয় চন্দননগরের অবসরপ্রাপ্ত শ্রমিক কল্যাণ সমিতিকে। সমিতির কর্ণধার বিশ্বজিৎ মুখোপাধ্যায় টাকা ফেরানোর কথা জানিয়ে চিঠি দেন কারখানা কর্তৃপক্ষকে। টাকা না ফেরালে আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার কথাও জানানো হয়। এরপরই নড়ে বসেন কারখানা কর্তৃপক্ষ। তাঁরা লিখিতভাবে জানান, মোট ১০ কিস্তিতে শ্রমিকদের বকেয়া মেটানো হবে। শ্রমিক কল্যাণ সমিতি কারখানা কর্তৃপক্ষকে জানান, তাঁরা অত সময় দিতে রাজি নন।
অবশেষে কারখানা কর্তৃপক্ষ তিন কিস্তিতে টাকা ফেরাতে রাজি হন। চলতি সপ্তাহের শুক্রবার কিস্তির প্রথম ২৬ লক্ষ টাকার চেক কর্তৃপক্ষ কো-অপারেটিভের কর্তাদের হাতে তুলে দেন। কো-অপরাটিভের কর্তারা জানান, এক মাস অন্তর চেক পাওয়া যাবে। অর্থাৎ পুরো চেকের টাকা পেতে তিন মাস সময় লাগবে। তারপর শ্রমিকদের প্রাপ্য মেটানো হবে।