দুর্যোগ: সরানো হচ্ছে ভেঙে পড়া গাছ। নিজস্ব চিত্র
উলুবেড়িয়া সকাল থেকে বৃষ্টি হচ্ছিল। হাওয়ার দাপট তেমন ছিল না। কিন্তু শুক্রবার দুপুরে আচমকা কয়েক সেকেন্ডের ঝড়ে লন্ডভন্ড হয়ে গেল উলুবেড়িয়া পুরসভার ২১ নম্বর ওয়ার্ডের ফুলেশ্বরের কিছু এলাকা। উপড়ে পড়ে বহু গাছ। ভাঙল বাড়ির চাল। ক্ষতিগ্রস্ত হল পুজো মণ্ডপ। বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে পড়ায় সন্ধে পর্যন্ত দুর্ভোগ পোহাতে হয় এলাকাবাসীকে। যাঁদের অনেকেই বলছেন, এমন ঝড় এই প্রথম দেখলেন তাঁরা।
ওই ওয়ার্ডের বিজেপি কাউন্সিলর নবকুমার মাল জানান, প্রাথমিক ভাবে পাঁচটি ছিটেবেড়ার ঘর, একটি জরি কারখানা এবং একটি পুজো মণ্ডপ ভেঙে পড়েছে বলে জানা গিয়েছে। অন্তত ২৫টি পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাদের জন্য ত্রিপল বিলি করা হয়েছে। মহকুমাশাসক (উলুবেড়িয়া) অংশুল গুপ্ত বলেন, ‘‘নিম্নচাপের কারণেই ওই ঝড় বলে মনে হচ্ছে। পুরসভাকে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।’’ উলুবেড়িয়া পুরসভার চেয়ারম্যান অর্জুন সরকার জানান, তিনি নিজে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করে এসেছেন। ওখানকার কাউন্সিলরকে দুর্গতদের পাশে থাকতে বলা হয়েছে। পুরসভার পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্তদের সব রকম সাহায্য করা হবে বলে আশ্বাসও দেন অর্জুনবাবু।
গ্রামবাসীরা জানান, ঝড় শুরু হয় বেলা সাড়ে ১২টা নাগাদ। তার স্থায়িত্ব ছিল ১০ সেকেন্ডের মতো। কিন্তু তাতেই লন্ডভন্ড হয়ে যায় বৈকুণ্ঠপুর, কালসাপা, রথতলার মতো এলাকা। ওই সব এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, বৈকুণ্ঠপুরে একটি গাছ উপড়ে যাওয়ায় রাস্তায় প্রায় ৫০ ফুট ফাটল হয়েছে। কালসাপা এলাকায় একটি দোকান উড়ে গিয়ে রাস্তার পাশে নয়ানজুলিতে পড়ে। রথতলা এলাকায় বেশ কিছু বাড়ির টালি পড়ে রয়েছে রাস্তায়। এখানকারই একটি পুজো মণ্ডপ ভেঙে পড়ে। বৈকুন্ঠপুরের বাসিন্দা আব্দুল হান্নান বলেন, ‘‘জীবনে এই প্রথম এমন ঝড় দেখলাম। গঙ্গার দিক থেকে ঝড়টা এল। রাস্তায় ছিলাম। কোনও রকমে গাছ আঁকড়ে প্রাণ বাঁচিয়েছি।’’ শেখ রাসেদুল নামে আর এক গ্রামবাসী বলেন, ‘‘রাস্তায় একের পর এক গাছ পড়ে যেতে দেখছিলাম। ভীষণ ভয় করছিল।’’