জীবনে ছন্দ ফেরার আশায় হকাররা। নিজস্ব চিত্র।
সাড়ে ৭ মাস পর সব যাত্রীদের জন্য ঘুরল ট্রেনের চাকা। এ বার জীবনের চাকাও ঘোরার আশায় অনেক দিন কর্মহীন থাকা ট্রেনের হকাররা। একই আশা তৈরি হয়েছে বিভিন্ন স্টেশনের আশপাশের সাইকেল, মোটর সাইকেল গ্যারেজ মালিকদের।
লোকাল ট্রেন চালু হওয়াটা যেমন যাত্রীদের জন্য খুশির খবর তেমন হকারদের কাছেও। বহু মানুষেরই রুটিরুজি জোগায় লোকাল ট্রেন। রেলের সব শাখার ট্রেনেই সকাল থেকে রাত হকারদের দেখা মেলে। লকডাউনে কাজ হারানো সেই সব হকাররা এখন আশায় বুক বাঁধছেন। বলছেন, করোনা অতিমারি যা ক্ষতি করে দিয়েছে তা হয় তো পূরণ হবে না কিন্তু ট্রেন চালু হওয়ায় নতুন করে বাঁচার স্বপ্ন দেখা যেতে পারে।
লোকাল ট্রেন চালুর প্রথম দিন হকারদের ট্রেনে ওঠায় কড়াকড়ি ছিল। তবুও অনেকে উঠেছেন। আরপিএফ-এর নজরে এলে নামিয়ে দেওয়া হয়েছে অনেককেই। তবে ব্যান্ডেল-হাওড়া লোকালে অনেক হকারই কাজ করতে পেরেছেন। লেবু চা বিক্রেতা কিশোর সাউ বলেন, ‘‘সকালের দিকে ভিড় হবে বলে একটু বেলার দিকে ট্রেনে উঠেছি। ভালই বিক্রি হয়েছে।’’
ট্রেন চালু হওয়ায় ব্যস্ততা বেড়েছে স্টেশনের গ্যারাজগুলিতেও। নিজস্ব চিত্র।
হুগলির বাসিন্দা মানবেশ প্রামাণিক ট্রেনে পেন, লাইটার-সহ নানা সামগ্রী বিক্রি করেন। গত ৭ মাস সেই কাজ বন্ধ ছিল। এক রাজমিস্ত্রির সহযোগী হিসেবে কাজ করে কোনও ভাবে সংসার চলেছে। আবার ট্রেন চালু হওয়ায় খুশি মানবেশ।
ট্রেন চালু হওয়ায় ব্যস্ততা বেড়েছে স্টেশনের সাইকেল গ্যারাজগুলিতেও। বুধবার সকাল থেকে অনেকটাই পুরোনো ছন্দে ফিরছে গ্যারেজগুলি।