হাওড়ার ঐতিহ্যের ভবন সফরে উদ্যোগী প্রশাসন

রাজ্য পর্যটন দফতর সূত্রের খবর, আগামী দিনে হেরিটেজ পর্যটনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

Advertisement

নুরুল আবসার

উলুবেড়িয়া শেষ আপডেট: ০৯ জুলাই ২০১৯ ০২:২২
Share:

ঐতিহ্য: সামতাবেড়ে শরৎচন্দ্রের বাড়ি। নিজস্ব চিত্র

বাগনানের সামতাবেড় গ্রামে কথাশিল্পী শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের বাড়ি, আমতার তাজপুরে রায় পরিবারের জমিদারবাড়ি, এই গ্রামেই কবি গুণাকর ভারতচন্দ্রের স্মৃতি বিজড়িত টোল চলে আসতে পারে রাজ্যের পর্যটন মানচিত্রে। একদিনের জন্য এইসব জায়গায় বেড়াতে আসতে পারবেন পর্যটকেরা। ঐহিত্যমণ্ডিত পুরনো বাড়ি এবং ভবনগুলির সংস্কার করে তার কিছুটা অংশে হোটেল করা হবে। সেখানে থাকতে পারবেন পর্যটকেরা। পরিককল্পনাটি খোদ রাজ্য রাজ্য পর্যটন দফতরের।

Advertisement

রাজ্য পর্যটন দফতর সূত্রের খবর, আগামী দিনে হেরিটেজ পর্যটনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এই দফতরের আধিকারিকদের বক্তব্য, রাজ্য জুড়ে বহু ঐতিহ্যমণ্ডিত জায়গা আছে। এছাড়াও আছে বহু রাজবাড়ি, জমিদারবাড়ি এবং পুরোন স্মৃতিসৌধ। সেগুলির আলাদা আলাদা ইতিহাস আছে যা বেশ আকর্ষণীয়। কিন্তু ওই সব সম্পত্তির মালিকরা আর্থিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়ায় এই সব ভবন ও স্মৃতিশৌধগুলি সংস্কার করতে পারছেন না। ফলে ভবিষ্যতে এগুলি নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা আছে।

সেগুলিকেই সংরক্ষণ করে পর্যটনকেন্দ্র গড়তে উদ্যোগী হয়েছে রাজ্য পর্যটন দফতর। এই দফতর সূত্রের খবর, এই ধরনের বাড়িগুলি প্রথমে চিহ্নিত করা হবে। তারপরে ইতিহাসবিদ, স্থাপত্যের সংরক্ষণে বিশেষজ্ঞ আর্কিটেক্ট এবং হোটেল ব্যবসায়ীদের নিয়ে তৈরি কমিটি পুরনো বাড়ি এবং ভবনের অবস্থা খতিয়ে দেখে সেগুলি কী ভাবে সংরক্ষণ করা যাবে সে বিষয়ে সুপারিশ করবে। সেখানে বিনিয়োগ করা যাবে কি না তা ঠিক করবেন হোটেল ব্যবসায়ীরা। একইসঙ্গে কথা বলা হবে ভবন ও বাড়িগুলির মালিকদের সঙ্গেও।

Advertisement

সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে পুরনো বাড়ি এবং ভবনগুলি সংস্কার করে শুরু হবে হোটেল ব্যবসা। পর্যটকরা এখানে এলে যেমন ঐতিহ্যশালী ভবন দেখতে পাবেন, তেমনই পাবেন স্থানীয় ইতিহাসের স্বাদ। একদিন বা দু’দিন হোটেলে কাটিয়ে যেতে পারবেন। ইতিমধ্যেই প্রাথমিক কাজ শুরু হয়েছে বলে রাজ্য পর্যটন দফতর সূত্রের খবর।

চিঠি পাওয়ার পরে হাওড়া জেলায়ও তালিকা তৈরির কাজ শুরু হয়েছে বলে জেলা প্রশাসন সূত্রের খবর। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রতিটি ব্লকে চিঠি দিয়ে তালিকা চাওয়া হয়েছে। আমতা ২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সুকান্ত পাল বলেন, ‘‘আমাদের এলাকায় রয়েছে কথাশিল্পী শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের বাড়ি। তাজপুর গ্রামে ছিল কবি রায়গুণাকর ভারতচন্দ্রের মামার বাড়ি। এছাড়াও স্থানীয় জমিদার রায় পরিবারের প্রাসাদ আছে। তাঁদের দোল উৎসব বিখ্যাত। আমরা এই তিনটি নাম জেলা প্রশাসনে পাঠিয়ে দিয়েছি।’’

উদয়নারায়ণপুরে রানী ভবশঙ্করী, জগৎবল্লভপুরে চণ্ডীমাতা ফিল্মস-এর মালিক সত্যনারায়ণ খানের বাড়ি যেখানে উত্তমকুমার বহুবার সিনেমার শ্যুটিং করতে এসে থেকেছেন। এইসব জায়গাগুলির নামও রাজ্য পর্যটন দফতরে পাঠানো হবে বলে জেলা প্রশাসন সূত্রের খবর।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement